স্টাফ রিপোর্টার: খুলনায় ইজিবাইক চালক শাওন হাওলাদার ওরফে বাবু (২২) হত্যা মামলার ১৯ ঘন্টার মধ্যে তিন আসামীকে আটক করা হয়েছে। খুলনা জেলা পুলিশ ও নৌ পুলিশের সহযোগিতায় নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে আসামীদের আটক করা হয়। আসামীরা হলেন কয়রা উপজেলার মোসলেম গাজী ও মো: রুহুল আমিন এবং দাকোপ উপজেলার আনিছুর রহমান। ইজিবাইক ছিনতাই করার পর শাওনের লাশ গত ২৭ আগষ্ট বটিয়াঘাটা উপজেলার কাজীবাছা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। নিহতের শাওনের মোবাইলের সূত্র ধরে হত্যা মামলার আসামীদের আটক করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান তার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। তিনি দাবি করেন, হত্যা মামলার ১৯ ঘন্টার মধ্যে তিনজন আসামীকে আটক করা হয়েছে। অপর একজন আসামী ও ছিনতাই হওয়া ইজিবাইক উদ্ধারের জন্য অভিযান চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত ২৬ আগষ্ট সন্ধ্যায় আসামীরা শাওনের ইজিবাইকটি ৬’শ টাকায় ভাড়া নিয়ে দাকোপের পানখালীর উদ্দেশ্যে যায়। রাতে ডেউয়াতলা শ্মশানের নিকট আসামীরা গলায় বেল্ট পেঁচিয়ে শ^াসরোধ করে। পরে নদীতে ডুবিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করার পর সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এসময় ইজিবাইক, শাওনের মোবাইল এবং ২৬০টাকা আসামীরা লুটে নেয়। এদিকে শাওন নিখোঁজের পর গত ২৮আগষ্ট তার বাবা সেলিম হাওলাদার বটিয়াঘাটা থানায় মামলা করে। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় খুলনা জেলা পুলিশ ও নৌপুলিশ যৌথভাবে তদন্ত শুরু করে।
নিহতের শাওনের মোবাইল আসামী মোসলেম গাজী অন্য একটি সিম দিয়ে ব্যবহার করছিল। পুলিশ মোবাইলের সূত্র ধরে নগরীর বাইপাস এলাকার নতুন জেলখানা থেকে তাকে আটক করে। পরবর্তীতে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অন্যান্য দুই আসামীদের আটক করা হয়।
