ফুলগাজীতে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত, ফের বাঁধ ভাঙার শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিনিধি->>

ফেনীতে টানা কয়েকদিনের অবিরাম বৃষ্টি ও উজানের পানির চাপে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত মুহুরী ও কহুয়া নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরাত দিয়ে ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া ভূঁইয়া জানান, রোববার (৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

বৃষ্টিপাত ও নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ফের বাঁধ ভাঙার শঙ্কা দেখা দিয়েছে স্থানীয় মানুষদের মনে। স্থানীয়রা বলছেন, বাঁধ ভাঙলে ফের দুর্ভোগের মুখোমুখি হবে এ উপজেলার হাজার হাজার মানুষ। বর্তমানে উপজেলার উত্তর দৌলতপুর, জয়পুর, দেড়পাড়া এবং ঘনিয়ামোড় এলাকা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। 

আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এ বছর অনেকটা দেরিতে বর্ষা আগমন হলেও চলমান মৌসুমি বায়ু সমানতালে সক্রিয় থাকায় বর্ষার ঘনঘটা এখনও জোরালো রয়েছে।

এদিকে সপ্তাহখানেক আগেও বৃষ্টিহীনতায় এ অঞ্চলের কৃষক আমন ধান বোনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন। এখন অবিরাম বর্ষায় কৃষক ও মৎস চাষিদের ফসল, মাছের ঘের প্লাবিত হবার আশঙ্কা করছেন।

ফুলগাজী উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। 

উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রতিবার এসময় এলেই বাঁধ ভেঙে এ অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ দেখা দেয়। এবারও এভাবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বাঁধে ভাঙন দেখা দিতে পারে। এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের একটি দাবি ত্রাণ নয়, টেকসই বাঁধ।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরও জানান, এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কহুয়া নদীতে বাঁধের একটি ক্ষতিগ্রস্ত স্থান মেরামত করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছর বন্যায় মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে ফেনীর উত্তরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। নদী দখল করায় নদীর পানি চলাচলের প্রবাহ সংকুচিত হয়ে গেছে। নদীতে ড্রেসিং ও অবৈধ দখলমুক্ত করে নদীর স্বাভাবিক চলাচল ফিরিয়ে আনার দাবি জানান স্থানীয়রা।

Explore More Districts