শান্তিগঞ্জে হত্যা রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশি তৎপরতা

শান্তিগঞ্জে হত্যা রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশি তৎপরতা

শান্তিগঞ্জে হত্যা রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশি তৎপরতা

শান্তিগঞ্জের সুরমা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাজনা বেগম (১৬) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের পিতা ইসরাইল মিয়া (৬৫) বাদী হয়ে রবিবার (২৩ জুলাই) রাতে শান্তিগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদেরকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার সূত্রে জানায়, ভিকটিম রাজনা বেগম (১৬) পাথারিয়া সুরমা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। গত ২২ জুলাই রবিবার রাত তিনটায় পরিবারের সবার সঙ্গে টেলিভিশন দেখে ঘুমিয়ে পড়েন। ভিকটিমের মা জাহানারা বেগম ভোর ফজরের আজান শুনে ঘুম থেকে উঠে ঘরের বাইরে প্রক্ষালন কক্ষে যান। সেখান থেকে ফিরে এসে সবাইকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখতে পায়ে আবারো ঘুমিয়ে পড়েন। সকাল সাড়ে ছয়টায় ভিকটিমের বাবা ইসরাইল আলীর ঘুম ভাঙলে ঘরের পেছনে দুটি দরজা খোলা দেখতে পেয়ে খাটের ওপর তার অপর মেয়ে রেশমা বেগম ও শ্যালকের মেয়ে সাজনা বেগমকে দেখতে পান। তখন ভিকটিম রাজনা বেগমকে খাটের ওপর দেখতে না পেয়ে ও বাড়ির আশপাশে রাজনা বেগমকে দেখতে না পেয়ে পরিবারের লোকজনকে ডাকাডাকি করে ঘুম থেকে উঠান। পরে পরিবারের লোকজন ভিকটিমকে সবাই সম্ভাব্য সর্বত্র খোঁজাখুজি করতে থাকেন। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে ২২ জুলাই রবিবার প্রতিবেশী বাদী সালমান মিয়াকে মোবাইলে পাথারিয়া-দিরাইগামী সড়কের বামে জনৈক বাসিন্দা আইবুর রহমানের বাড়ির বাউন্ডারীর পাশে একটি সাদা প্লাস্টিকের বস্তায় একটি মরদেহ পাওয়া গেছে। পরে বাদী শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ সাদা প্লাস্টিকের বস্তা থেকে মরদেহ বের করলে রাজনা বেগমের মরদেহ শনাক্ত করেন বলে এজাহারে উল্লেখ করেন।

শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ আহমদ বলেন, হত্যা রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ আসামি শনাক্তকরণে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আসামি গ্রেপ্তার হলে মূল রহস্য বেরিয়ে আসবে। আলামতের ভিত্তিতে আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে অচিরেই আসামি গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।

জগন্নাথপুর শান্তিগঞ্জ থানার সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার শুভাশিস ধর বলেন, হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ২৩ জুলাই রবিবার রাতে মেয়ের পিতা বাদী অজ্ঞাতনামা একাধিক আসামি করে শান্তিগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে অবস্থান করে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।

তিনি আরো বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না, যেকোনো মূল্যে রহস্য উদ্ঘাটন করে জড়িতদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

উল্লেখ্য, গত রবিবার শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া গ্রামের শরীফপুর তালুকদার বাড়ী সংলগ্ন গ্রাম্য রাস্তার পাশ থেকে পাথারিয়া গ্রামের ইসরাইল মিয়ার মেয় সাজন বেগম (১৬) নামে এক কিশোরীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছিল শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ।

Explore More Districts