দামুড়হুদা দুর্গাপুরে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত | দৈনিক মাথাভাঙ্গা

দামুড়হুদা দুর্গাপুরে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত | দৈনিক মাথাভাঙ্গা

 

দর্শনা অফিস/কুড়ুলগাছি প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাতুল (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় অপর এক যুবককে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার দর্শনা-কার্পাসডাঙ্গা সড়কে দুর্গাপুর মাদরাসার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রাতুল উপজেলার কুড়ুলগাছি গ্রামের সেতুর ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, রাত ৮টার দিকে দুর্গাপুর মাদরাসার সামনে দুদিক থেকে আসা দুটি দ্রুত গতির মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুই মোটরসাইকেলের চালক সড়কে পড়ে যায়। এতে একজন ঘটনাস্থলে নিহত হয় এবং অপরজন গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় এবং আহত যুবককে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতলে পাঠায়।

জানা গেছে, দামুড়হুদার কুড়–লগাছি ইউনিয়নের কুড়–লগাছি আনন্দ বাজারপাড়ার হক মোল্লার ছেলে দর্শনা সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রাতুল প্রায় দিন বিকেলে মোটরসাইকেল যোগে দর্শনায় ঘুরতে আসে। প্রতিদিনের মতো গতকাল বুধবার বিকেলে দর্শনায় ঘুরতে এসে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ি ফিরছিলো মোটরসাইকেলযোগে। রাতুল দর্শনা-কার্পাসডাঙ্গা মহাসড়কের রুদ্রনগর মুন ব্রিকসের সামনে পৌঁছুলে বিপরীত থেকে আসা রুদ্রনগরের আব্দুল মজিদের ছেলে মুর্শিদ আলমও আসছিলেন দর্শনার দিকে। এ সময় দু’মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মোটরসাইকেল থেকে রাতুল ও মুর্শিদ ছিটকে পড়ে পিচ রাস্তার ওপর। মাথায় প্রচ- আঘাতে ঘটনাস্থলেই রাতুলের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে দর্শনা থানা পুলিশ পৌঁছায় ঘটনাস্থলে। পুলিশ পথচারীদের সহযোগিতায় রাতুল ও মুর্শিদকে মূমুর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে দর্শনার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য আনলে রাতুলকে মৃত বলে ঘোষণা দেন ক্লিনিকের কর্তব্যরত চিকিৎসক। মুর্শিদকে দ্রুত নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। সেখানে মুর্শিদের অবস্থার অবনতি দেখা দিলে রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দুটি মোটরসাইকেলই উদ্ধার করে  নেয়া হয়েছে থানা হেফাজতে।

এদিকে রাতুলের লাশ রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজবাড়িতে নেয়া হলে স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে বাতাস। গোটা গ্রামেই নেমে আসে শোকের ছায়া। তবে লাশ দাফনের সময় নির্ধারণ করতে পারেনি পরিবারের পক্ষ থেকে। দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কেউ কোনো প্রকার অভিযোগ বা মামলা দায়ের করেনি বলেও জানিয়েছেন তিনি।


Explore More Districts