নীলফামারীতে পঞ্চাশোর্ধ্ব চীনা নাগরিকের সাথে মিন্নীর বিয়ে
নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
বিয়ের আসরে তাদের পরিচয়। তারপর প্রেম। আর এ প্রেমের টানে চীন থেকে নীলফমারীতে ছুটে এলো প্রেমিক। বিয়েটি সম্পন্ন হয়েছে গত মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে। প্রেমিক চীনের গুয়ানডং শহরের চিশুয়ী টাউনের লীন সিংকের ছেলে লীন ঝানরুই (৫০)।
অপরদিকে প্রেমিকা মিন্নি আকতার মিথুন (২০) নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের কয়ানিজ পাড়ার অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমানের মেয়ে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উত্তরা ইপিজেডের টিএইচটি- স্পেস ইলেট্রিক্যাল কোম্পানীতে টেকনিশিয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন চীনা নাগরিক লীন ঝানরুই। একই কোম্পানীতে চাকুরীরত ছিলেন মিন্নি। গত ২০২২ সালের আগস্ট মাসে সৈয়দপুর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারের এক সহকর্মীর বিয়ের অনুষ্ঠানে পরিচয় ঘটে লীন ঝানরুই ও মিন্নির। সেই পরিচয় থেকে গড়ে ওঠে প্রেম।
ইতিমধ্যে লীন ঝানরুইকে তাঁর কোম্পানী বিশেষ কারণ দেখিয়ে নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু প্রেমিকার টানে গত ঈদ-উল আযহার দুদিন আগে লীন ছুটে আসেন সৈয়দপুরে। তারপর গত মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) লীন আদালতের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মোহাম্মদ লাবীব নাম ধারন করেন। ওইদিনেই শহরের অভিজাত একটি হোটেলে ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৫০১ টাকা দেনমোহরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয় লাবীব ও মিন্নি।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিন্নির সহকর্মীরা জানান, তারা একই প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করতো এবং মোটরসাইকেলে প্রকাশ্যে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াতেন। বিয়ের আগেই এ কারণে চাকুরীচ্যুত হন। চাকুরী হারিয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন। এর আগে মিন্নী একাধিক বিদেশি নাগরিকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন।
এ ব্যাপারে মিন্নি আকতার মিথুন জানান, আমার প্রেমের টানেই সে চীন থেকে বাংলাদেশে এসেছে এবং মুসলিম শরিয়া মোতাবেক বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। চাকুরী বড় বিষয় নয়, দুজনেই নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে সংসার গড়তে চাই। লাবীব যদি তাঁর দেশে নিয়ে যেতে চায়, তাহলে অবশ্যই চলে যাবো নিঃসঙ্কোচে। বয়সের পার্থক্য প্রেমে কোন বাধা নয়।
চীনা নাগরিকের ইসলাম ধর্মগ্রহণ এবং বিয়ে সম্পন্ন বিষয়টি অবগত নয় বলে জানান সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, দেশের প্রচলিত আইনে ধর্মগ্রহণ বা বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।