সাকিবের ওপর চড়াও হওয়ার নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল না : ক্রিস্টিয়ান

সাকিবের ওপর চড়াও হওয়ার নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল না : ক্রিস্টিয়ান

সাকিবের ওপর চড়াও হওয়ার নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল না : ক্রিস্টিয়ান

অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যকার সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে সাকিব আল হাসানের এক ওভারেই ঘুরে যায় ম্যাচের মোড়। ম্যাচ শেষে দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে ওই একটি ওভারই। সাকিবকে পাঁচ ছক্কা মারা ড্যানিয়েল ক্রিস্টিয়ান অবশ্য বলছেন পরিকল্পনা না থাকলেও সৌভাগ্যবশত দুর্দান্ত একটি ওভার পেয়ে যান তিনি।

সাকিবের ওপর চড়াও হওয়ার নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল না ক্রিস্টিয়ান
ড্যানিয়েল ক্রিস্টিয়ান

মিরপুরে টস জিতে আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রান। জবাবে ভালো বোলিং শুরু করেছিল টাইগাররা। তবে সাকিবের এক ওভারেই ঘুরে যায় ম্যাচ। ৫টি ছক্কা হাঁকিয়ে ক্রিস্টিয়ান ওই ওভারে সংগ্রহ করেন ৩০টি রান। ওই ওভারের কল্যাণেই ম্যাচে এগিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। যদিও দলের অন্য বোলারদের প্রচেষ্টায় ম্যাচে ফেরার আশা দেখিয়েছিল বাংলাদেশ।

মাঠে নামার ক্রিস্টিয়ানের যা পরিকল্পনা ছিল তা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আগেও সাকিবের বিপক্ষে খেলেছি, বিগব্যাশে খেলেছি, আইপিএলে কয়েকবার খেলেছি। তবে আজ এটা কেবল আমার পরিকল্পনা ছিল যে আমি কীভাবে খেলব। আমার কাজ ছিল যত দ্রুত রান তোলা যায় এবং আমাদের রান কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া যায়। পরের ব্যাটসম্যানদের জন্য ম্যাচটা সহজ করে দেওয়ায় আমার লক্ষ্য ছিল।’

Also Read – হেরেও প্রশংসা কুড়াচ্ছে টাইগাররা, অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে স্বস্তির হাওয়া

দ্রুত রান তোলার লক্ষ্য থাকলেও কেবলই সাকিবের ওপর চড়াও হওয়ার পরিকল্পনা তার ছিল না। ক্রিস্টিয়ান বলছেন পাওয়ারপ্লের ওভারে সীমানার কাছে মাত্র দুইজন ফিল্ডার থাকায় তিনি স্বাধীনভাবে হাত খুলে খেলেছেন এবং সৌভাগ্যবশত এক ওভারেই পাঁচটি ছক্কা পেয়েছেন। ১৫ বলে ৩৯ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন ক্রিস্টিয়ান।

ক্রিস্টিয়ানের ভাষায়, ‘সাকিবের ওপর চড়াও হওয়ার কোনো নির্দিষ্ট পরিকল্পনা আমার ছিল না। সৌভাগ্যবশত ওই ওভারে কিছু বল আমার ব্যাটের মাঝ বরাবর লাগে এবং তখন পাওয়ারপ্লে তাই বাইরে মাত্র দুইজন ফিল্ডার ছিল তাই স্বাধীনভাবেই বলগুলো মারতে পেরেছিলাম।’

প্রসঙ্গত, সাকিব ৪ ওভারে খরচ করেন ৫০ রান। কোনো উইকেটের দেখা না পেলেও তার কল্যাণে একটি রান আউট হয়। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ জিতে ১৯তম ওভারের শেষ বলে। অর্থাৎ সাকিব ব্যতীত অন্যান্য বোলাররা ১৫ ওভারে খরচ করেন ৫৫ রান এবং শিকার করেন ৬টি উইকেট। ৬ বল বাকি থাকতেই অস্ট্রেলিয়া ৩ উইকেটের হয় পায়। অর্থাৎ দিনশেষে সাকিবের ওই ওভারটিই বাংলাদেশের হতাশা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Explore More Districts