শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে কেমিস্টি কার্নিভালের আয়োজন
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে কেমিস্টি কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৪ মে) আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টের উদ্যোগে সরকারি কলেজের এক্সামিনেশন হল রুম, কাম একাডেমিক ভবনে রসায়ন জনপ্রিয়করণ কর্মসূচি কেমিস্টি কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মসূচিতে অংশ নেয় জেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের অষ্টম, নবম, দশম একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী।
অনুষ্ঠানে ফলিত রসায়ন কেমিকৌশল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: ইসমাইল এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: আব্দুল জলিল, উপাধাক্ষ প্রফেসর জিন্নাতুন নাহার, ফলিত রসায়ন কেমিকৌশল বিভাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মো: সাহারুজ্জামান, ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান মো: এ মতিন।
ফলিত রসায়ন কেমিকৌশলের এডভাইজার অধ্যাপক ইসমাইল জানান, বাংলাদেশে ২০১৮ সালে আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্ট চ্যাপ্টার হিসাবে কাজ করছি। কেমিস্ট্রি কার্নিভালকে জনপ্রিয় করার জন্য আমরা উত্তরবঙ্গের ঠাকুরগাঁওয়ে এসেছি। আমাদের দৈনিক জীবনের মাঝে যে কেমিস্ট্রিগুলো ব্যবহার হয়ে আসছে এবং কেমিস্ট্রির মধ্য দিয়ে যেন আমরা আমাদের জীবনকে আরো সুন্দরভাবে সাজাতে পারি তা তরুণ শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য। শিক্ষার্থীদের যে কেমিস্ট্রি বিষয়ে জানার আগ্রহ দেখে খুবই ভালো লেগেছে।
ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক হুমায়ুন কবি বলেন, আমাদের কলেজে আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট কর্তৃক কেমিস্ট্রি কার্নিভাল ২০২৩ অনুষ্ঠিত হলো। কেমিস্ট্রি কারণে ভালো কার্নিভালের উদ্দেশ্য হলো দেশের প্রান্তিক কলেজগুলোতে এসে শিক্ষার্থীদের মাঝে রসায়নকে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য এবং সহজ করার জন্য তারা কাজ করছে। খুব ভালো লেগেছে যে তারা আমাদের কলেজকে বেছে নিয়েছে। শিক্ষার্থীরা যদি এই বিষয়টিকে ধরে রাখতে পারে তাহলে আগামীতে তারা আর ভালো কিছু করতে পারবে।
অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা জানান, রসায়নকে আরো সহজ ভাবে জানার জন্য কেমিস্ট্রি কার্নিভাল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছি। কুইজ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ৩০ মার্কের কেমিস্ট্রি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছি। সবমিলিয়ে মেধা বিকাশে অংশ নিতে পেরে নিজেকে অনুপ্রানিত হয়েছি। প্রতিবছর এমন কর্মসুচি অব্যাহত থাকলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। পরে পরিক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের মুল্যায়নের মাধ্যমে পুরস্কার প্রদান করা হয়।