অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে চট্টগ্রামে ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। শনিবার (১৩ মে) সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে ভারি বৃষ্টি ও ভূমিধসের শঙ্কার কথা জানানো হয়। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকার বসতি থেকে লোকজনকে নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং করেছে জেলা প্রশাসন।
পূর্বাভাসে জানানো হয়, চট্টগ্রামের আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। সেইসঙ্গে অধিকাংশ জেলায় অস্থায়ীভাবে দমকা কিংবা ঝড়ো হওয়াসহ ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি হতে পারে। চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজারের পাহাড়ি অঞ্চলে অতিভারি বর্ষণের ফলে কোথাও কোথাও পাহাড়ধসের শঙ্কা রয়েছে।
এ সময়ে রাত ও দিনের তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। বর্তমানে চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, চট্টগ্রামে দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১৫-১৮ কিলোমিটার বেগে, যা অস্থায়ী দমকা কিংবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার অথবা অধিক বেগে প্রবাহিত হতে পারে।
এদিকে, মহানগরীর পাহাড়ি এলাকা; বিশেষ করে আকবরশাহ থানাধীন ফয়েজ লেকের ১, ২ ও ৩নং ঝিল, শান্তিনগর এলাকা, খুলশী থানার লালখান বাজারের মতিঝর্ণা, বাটালি হিল, পোড়াকলোনী পাহাড়, চান্দগাঁ থানাধীন আমিন জুট মিলস পাহাড়, টাংকির পাহাড়, ভেড়া ফকিরের পাহাড়, বার্মা কলোনী পাহাড়সহ মহানগরীর চরম ও অতি ঝুঁকিপূর্ণ সব পাহাড়ি বসতি থেকে জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে সরানোর জন্য মাইকিং করছে জেলা প্রশাসন।
শনিবার সন্ধ্যায়ও মাইকিং করে স্থানীয়দের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করছেন। অন্যদিকে স্থানীয় মসজিদের মাইকে পাহাড়ের পাদদেশের বসতিতে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রাম মহানগরীর ঝুঁকিপূর্ণ ২৬টি পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা ছয় হাজার ৫৫৮। পাহাড়গুলোর মধ্যে ছয়টি সরকারি ও ১০টি ব্যক্তি মালিকানাধীন।