সিলেট বিভাগের অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ সাহিত্য পুরস্কার, ‘রাগীব-রাবেয়া সাহিত্য পুরস্কার’ পাচ্ছেন কবি ফকির ইলিয়াস।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ এই পুরস্কার ঘোষণা করেছে শিল্প সাহিত্য ও মানব কল্যাণমূলক সংগঠন ‘রাগীব-রাবেয়া ফাউণ্ডেশন’।
কবিতায় সামগ্রিক অবদানের জন্য ২০১৮ সালের কোটায় তিনি এই পুরস্কার পাচ্ছেন।
করোনা পরিস্থিতির জন্য থমকে থাকা কয়েক বছরের পুরস্কার ও পদক একই সাথে ঘোষিত হয়েছে।
২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এই পুরস্কার পাচ্ছেন ১২ জন লেখক,কবি, গবেষক ও শিল্পী।
রাগীব-রাবেয়া সাহিত্য পুরস্কার এর জন্য যারা মনোনীত হয়েছেন,
তারা হচ্ছেন, ২০১৭ সালে গবেষণায়- ফোরকান আহমদ এবং কবিতায়- কবি মোহন রায়হান। ২০১৮ সালে গবেষণায়- প্রফেসর ড. শরদিন্দু ভট্টাচার্য এবং কবিতায়- কবি ফকির ইলিয়াস।
২০১৯ সালে গবেষণায়- ড. সৈয়দ শাহ এমরান এবং কবিতায়- কবি ডা. বিনেন্দু ভৌমিক। ২০২০ সালে কথাসাহিত্যে- প্রফেসর ড. নিলুফা আক্তার এবং সংগীতে- বাউল শাহ আব্দুল করিমের অন্যতম শিষ্য বাউল আবদুর রহমান।
২০২১ সালে গবেষণায়-বিশিষ্ট হাছন গবেষক সামারীন দেওয়ান এবং কবিতায়- কবি পুলক কান্তি ধর।
২০২২ সালে গবেষণায়-উৎস প্রকাশনীর কর্ণধার মোস্তফা সেলিম এবং কবিতায়- কবি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী।
একটি জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে সম্মাননা তুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে ফাউণ্ডেশন।
উল্লেখ্য, এর আগে এই পুরস্কার পেয়েছেন – অধ্যক্ষ দেওয়ান মুহম্মদ আজরফ, লেখক প্রফেসর শাহেদ আলী, বাউল শাহ আব্দুল করিম,কবি দিলওয়ার,
কবি মোফাজ্জল করিম,
দেওয়ান নুরুল আনোয়ার চৌধুরী,ড.গোলাম কাদির, সৈয়দ মোস্তফা কামাল,রম্যলেখক আতাউর রহমান, ঝর্ণাদাশ পুরকায়স্থ, প্রফেসর নন্দলাল শর্মা,শামসুল করিম কায়েস,লোকগবেষক হারুন আকবর, প্রফেসর নৃপেন্দ্র লাল দাশ,- প্রমুখ।
ইংল্যাণ্ডে মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বিশিষ্ট মানবপ্রেমী ব্যক্তিত্ব ড.সৈয়দ রাগীব আলী ও তাঁর প্রয়াত সহধর্মিণী রাবেয়া খাতুন চৌধুরী’র নামে প্রতিষ্ঠিত এই ফাউণ্ডেশন ১৯৯৮ থেকে এই পুরস্কার দিয়ে আসছে।
নিউইয়র্ক অভিবাসী ফকির ইলিয়াস, ২৬ টি গ্রন্থের লেখক। সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট হিসেবে দেশে বিদেশে রয়েছে তাঁর ব্যাপক পরিচিতি।
সাহিত্য কর্মের জন্য তিনি-‘ফোবানা সাহিত্য পুরষ্কার’,’ঠিকানা শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ পুরষ্কার’,’কবিতাস্বজন প্রীতি সম্মাননা’,’মৃত্তিকায় মহাকাল আবৃত্তি উৎসব স্মারক’-পেয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত লিটল ম্যাগাজিন ‘ঘুংঘুর’ এর সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য।
এছাড়াও অনেকগুলো ওয়েব পোর্টালের- প্রধান সম্পাদকীয় উপদেষ্টা,উপদেষ্টা সম্পাদক,
এডিটোরিয়াল বোর্ড মেম্বার, কান্ট্রি এডিটর এর দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।
তিনি ‘দ্যা একাডেমী অব আমেরিকান পোয়েটস’ , ‘দ্যা এ্যমেনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল’ , ‘কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিষ্টস’ , ‘আমেরিকান ইমেজ প্রেস’, – এর সদস্যের দায়িত্ব পালন করছেন বহু বছর যাবৎ।
তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থগুলো হচ্ছে- ১।বাউলের আর্তনাদ(গান-১৯৮৫), ২।হৃদে গাঁথা মালা(গান-১৯৮৯), ৩।এ নীল নির্বাসনে( কবিতা-১৯৯১), ৪।অবরুদ্ধ বসন্তের কোরাস(কবিতা-১৯৯৬), ৫।দাক্ষিণ্য বিষয়ক দিন(কবিতা-১৯৯৮) ৬।বৃত্তের ব্যবচ্ছেদ(কবিতা-২০০১), ৭।অনন্ত আত্মার গান(গান- ২০০২), ৮।কবিতার বিভাসূত্র(প্রবন্ধ- ২০০৯), ৯। চৈতন্যের চাষকথা(গল্প-২০১০), ১০।গুহার দরিয়া থেকে ভাসে সূর্যমেঘ(কবিতা-২০১১), ১১।ছায়াদীর্ঘ সমুদ্রের গ্রাম(কবিতা-২০১২), ১২।গৃহীত গ্রাফগদ্য(কবিতা-২০১৪), ১৩।অনির্বাচিত কবিতা(কবিতা-২০১৫), ১৪।সাহিত্যের শিল্পঋণ(প্রবন্ধ-২০১৬)। ১৫।মুক্তিযুদ্ধের মানচিত্র ও স্বাধীনতার উত্তরাধিকার(প্রবন্ধ-২০১৭) ১৬।মেঘাহত চন্দ্রের প্রকার(উপন্যাস-২০১৭) ১৭।শহীদ কাদরী’র দরবারের দ্যুতি (প্রবন্ধ-২০১৮) ১৮।প্যারিস সিরিজ ও অন্যান্য কবিতা (কবিতা-২০১৮) ১৯।নক্ষত্র বিক্রির রাতে (কবিতা-২০১৯) ২০।সম্মোহিত শব্দদাগ (প্রবন্ধ-২০১৯) ২১।গ্রহান্ধ ঘরের কাহিনি(কবিতা-২০১৯) ২২। ধানমণ্ডির ধ্বনিপুত্র ( কবিতা- ২০২০)।
২৩। যতিকল্পের প্রতিপৃষ্ঠা ( প্রবন্ধ – ২০২২)
২৪। নির্বাচিত সনেট ( কবিতা – ২০২২)
সাংবাদিকতার সাথে তাঁর সংযুক্তি প্রায় চার দশকেরও বেশি সময়ের।তিনি বিভিন্ন সময়ে যেসব মিডিয়ায় দায়িত্ব পালন করেছেন এর মাঝে রয়েছে- উত্তর আমেরিকা প্রতিনিধি – দৈনিক আজকের কাগজ,ঢাকা। [ জানুয়ারি ১৯৯২ থেকে অক্টোবর ২০০৬ ], যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি- দৈনিক সিলেটের ডাক,সিলেট।[ জানুয়ারি ১৯৮৯ থেকে ডিসেম্বর ২০০৮],যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি – সাপ্তাহিক জনমত,ইংল্যান্ড। [ জানুয়ারি ১৯৯০ থেকে ডিসেম্বর ২০০৯], যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি – সাপ্তাহিক দিকচিহ্ন ,ঢাকা [ জানুয়ারি ১৯৯০ থেকে ডিসেম্বর ২০০২], নিউইয়র্ক প্রতিনিধি – সাপ্তাহিক সময়, ঢাকা [ জানুয়ারি ১৯৯৩ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০০১]।
সহধর্মিনী কবি ফারহানা ইলিয়াস তুলি এবং দুকন্যা নাহিয়ান ইলিয়াস ও নাশরাত
ইলিয়াসকে নিয়ে বসবাস করছেন নিউইয়র্কে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন