সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে লুটপাট
ঠাকুরগাঁওয়ে অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থানের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্পের ৪০ দিনের কাজে শ্রমিক অনুপস্থিতি, তদারকির অভাব ও অনুপস্থিত শ্রমিকদের হাজিরা দেখিয়ে মজুরির টাকা সংশ্লিষ্টরা হরিলুট করে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
চলমান এ প্রকল্পে অতি দরিদ্রদের নিয়মিত কর্মসংস্থানের মাধ্যমে রাস্তাঘাট ব্রীজ কালভার্টরে আশপাশ, স্কুল, কলেজ, ধর্মীয়সহ সকল সরকারি প্রতিষ্ঠান ও জনসাধারনের চলাচলের সুবিধার্থে মাটি ভড়াট কাজ বাস্তবায়নে প্রকল্পটি বর্তমানে চলমান রয়েছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের প্রতিটি ইউনিয়নে ইউনিয়নে চলছে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ। তবে প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের অর্থ হাতিয়ে নিতে নানা অনিয়ম করছেন ইউনিয়ন সংশ্লিস্টরা।
গত বুধবার সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নে মাটি ভরাট কাজ চলমানের সময় দেখা গেছে রাস্তাঘাট কিংবা কোন সরকারি প্রতিষ্ঠান চত্বরের মাটি ভরাট নয়। অর্থের বিনিময়ে মাটি ভরাট করা হচ্ছে অন্যের বাড়ির উঠানে।
অন্যদিকে ৯নং ওয়ার্ডে ৩৫ জন কাজ করার কথা থাকলেও কাজে যোগ দেন ১৭ থেকে ২০ জন। কাজ না করে তালিকায় থেকে শ্রমিকদের দৈনিক হাজিরা তুলে নিচ্ছেন তারা। এছাড়া নামে বে-নামে এ প্রকল্পের আওতায় থাকা আকচা ইউনিয়নের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডের হাজিরা খাতায় নাম দেখিয়ে সরকারের অর্থ লুটপাট করছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
তারা জানান, সরকারের কর্মসৃজন প্রকল্পের নামে ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে। কেউ ঠিক মতো কাজ করে না। সময়ের শেষ না হওয়ার আগেই চলে যায়। তালিকায় নাম আছে ৩৫ জনের কিন্তু কাজ করছে ১০ থেকে ১৫ জন। মেম্বার-চেয়ারম্যানরা দেখেও দেখে না। এক ঘন্টা কাজ করলে দুই ঘন্টাই বসে থাকে। শ্রমিকরা রাস্তার কাজ না করে অন্যের বাড়ির উঠান ভড়াট করছে।
অথচ অনেকেই আবার হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে দিন হাজিরা পাচ্ছেন। এভাবে সরকারের টাকা লুটপাটের পাশাপাশি ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নে এমন অনিয়ম হয়ে আসলেও তদারকির দায়িত্বে থাকা কাউকে খুজে পাওয়া যায়নি মাঠ পর্যায়ে। তবে সংশ্লিস্ট ইউপি সদস্য বাড়িতে মাটি ভড়াটের বিষয়টি স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অনিয়মের বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।