বেপরোয়া গতির বাসের চাপায় একই পরিবারের তিন জন নিহত
ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দূর্ঘনায় একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছে। মর্মান্তিক এমন দূর্ঘটনা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না স্বজনরা। স্থানীয়দের অভিযোগ বেপরোয়া গতিই মৃত্যুর কারন। আর পুলিশ বলছেন আইনি প্রদক্ষেপ নেয়ার কথা।
রবিবার (২৭ নভেম্বর) সকাল আটটার পর ঠাকুরগাঁও-বালিয়াডাঙ্গী আঞ্চলিক সড়কের পল্লী বিদ্যুত এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। মর্মান্তিক মৃত্যুর কথা নিশ্চত করেছেন রহিমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান।
সড়ক দূর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনকে হারিয়ে হাসপাতালে এসে এভাবেই বাঁধভাঙ্গা কান্না করছেন নিহতের স্বজনরা। স্বজন হারানো বেদনায় হাসপাতালের পরিবেশ মুহুর্তেই ভাড়ি হয়ে উঠে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের হরিহরপুর গ্রামের মাসুদুর রহমান মোটরসাইকেল যোগে স্ত্রীকে সাথে নিয়ে কন্যা সন্তানকে লক্ষীপুর এলাকার মাদ্রাসাতুল হুদা আল ইসলামিয়্যাহ আস সালাফিয়্যাহ মাদ্রাসায় পৌছে দিতে যায়। এসময় অপর দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে ছুটে আসা হানিফ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি যাত্রীবাহি বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই নিহত হয় স্ত্রী হামিদা বেগম।
স্থানীয়রা মাসুদুর রহমান ও তের বছরের মেয়ে মেহের নিগারকে গুরুতর অবস্থায় জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে কিছুক্ষণ পর মারা যায় বাবা ও মেয়ে। এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
দূর্ঘটনার বিষয়টি স্বীকার করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান সদর থানার এসআই চন্দন কুমার ঘোষ। তিনি বলেন, হানিফ পরিবহনটি বেশ বেপরোয়া গতিতে যাচ্ছিলো। লাশ তিনটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে দূর্ঘটনার পর হানিফ এন্টারপ্রাইজের বাসটি পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করতে পারেনি।