তবে ছোট শিপিং কোম্পানিগুলোর সব দেশে পণ্য পরিবহনসেবা নেই। সে জন্য বড় শিপিং কোম্পানিগুলো পরিবহন শুরু না করলে বাধা কাটবে না বলে জানিয়েছেন রপ্তানিকারকেরা।
এদিকে চট্টগ্রামের ১৯টি ডিপোর মধ্যে সিসিটিসিএল ডিপো এই পণ্য ব্যবস্থাপনা করছে। অন্য ডিপোগুলো এই রাসায়নিকের ব্যবস্থাপনা করছে না। তাতে একটি ডিপো দিয়ে রপ্তানি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না।
রপ্তানির তথ্যে দেখা যায়, চলতি ২০২২–২৩ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ৬৫ লাখ মার্কিন ডলারের ১৮ হাজার টন হাইড্রোজেন পার–অক্সাইড রপ্তানি হয়। এর মধ্যে সমুদ্রবন্দর দিয়ে গেছে ১২ লাখ ৩৭ হাজার ডলারের ২ হাজার ৬৮৮ টন পণ্য। আর এ সময়ে স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি হয়েছে ৫২ লাখ ডলারের সমমূল্যের প্রায় ১৬ হাজার টন হাইড্রোজেন পার–অক্সাইড।
বাংলাদেশে তৈরি এই রাসায়নিকের রপ্তানির বাজার রয়েছে বিশ্বের ১৪ দেশে। গত অর্থবছরে এই খাতে রপ্তানি আয় হয় ২ কোটি ৮১ লাখ ডলার। রপ্তানির ৩১ শতাংশই গেছে ভারতে। বাকি ৬৯ শতাংশ গেছে পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, কেনিয়াসহ ১৩ দেশে।
রপ্তানিতে শীর্ষ দুটি প্রতিষ্ঠান হলো সামুদা কেমিক্যাল কমপ্লেক্স লিমিটেড ও মেঘনা গ্রুপের তাসনিম কেমিক্যাল কমপ্লেক্স। গত অর্থবছরের মোট রপ্তানির ৮২ শতাংশ আয় এসেছে এই দুটি প্রতিষ্ঠানের হাত ধরে।