চাঁদপুরে সড়কের পাশে অবৈধভাবে দখল করে বালুর ব্যবসা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এতে করে যেমন পরিবেশ দূষণ হচ্ছে তেমনি দুর্ঘটনা ঘটা আশঙ্কা করছেন যানবাহন চালক ও পথচারীরা। একদিকে ট্রাকে করে বালু নিয়ে যায় বাতাসের সঙ্গে বালু উড়ে চোখে-মুখে চলে আসে। অন্যদিকে সড়কের পাশে যত্রতত্র বালু রাখায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ পথচারীরা পড়ছেন চরম ভোগান্তিতে। এছাড়া শ্বাস-প্রশ্বাসে মারাত্মক সমস্যা হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে।
চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ ও লক্ষ্মীপুর সড়কের গাছতলা ব্রিজ থেকে বাগাদী ইউনিয়নের বাগড়া বাজার পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন স্থানে রাস্তার পাশের জায়গা দখল করে ছাট-বড় প্রায় ২০ থেকে ২৫ টি অবৈধ বালুর ব্যবসা গড়ে উঠেছে। ব্যস্ত সড়কের পাশে বালুর ব্যবসা করার অনুমতি না থাকলেও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোখের সামনে প্রকাশ্যে চলছে এই ব্যবসা। এতে করে পথচারীদের চলাচলে অসুবিধাসহ প্রায় সময় ঘটছে দুর্ঘটনা।
অটোরিকশার চালক আল-আমিন বলেন, বালুর কারনে এই সড়কে চলাচল করা খুবই অসুবিধা হয়। যখন তখন বালু চোখে-মুখে বালু আসে। এছাড়া ট্রাকে করে বালু নেওয়ার সময় বাসতে চোখে বালু আসে। এত করে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা থাকে। বালুর ব্যবসা করছে ভালো কথা কিন্তু আমাদের সমস্যা করে কেনো করতে হবে।
শামীর আহমেদ নামের এক পথচরী বলেন, সরকারি সড়ক ব্যবহার করে বালুর ব্যবসা করছে, যার দুঃখজনক। সরকারি আদেশ কেউ মানছে না। সড়কের পাশে বালু রাখায় হাটাচলা করা খুব সমস্যা হয়। বিশেষ করে বাসাবাড়ি ও দোকানে বালু জমে যায়। এটি বন্ধে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হোটেল ব্যবসায়ী বলেন, বালু ব্যবসায়ীদের ভয়ে স্থানীয়রা কিছু বলতে পারে না। সড়কে বালু রাখার কারনে কোন ক্রেতা আমাদের এখানে বসে না। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দোকানের সামনে পানি ছিটিয়ে রাখতে হয়। এটি একটি বিড়ম্বনায় পরিণত হয়েছে।
চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী পরিচালক (অতিরিক্তি দায়িত্ব) মো. মারুফ হোসেন বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে কোন বালুমহলকে ইজারা প্রদান করা হয়নি। রাস্তা দখল করে যারা বালুর ব্যবসা করছে, তাদের কোন অনুমতি নেই। যারা সড়কে পাশে বালু ব্যবসা করে আসছেন তাদেরকে একাধিকবার মৌখিক ও লিখিত ভাবে সতর্ক করা হয়েছে। এরপরও আদেশ না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিবেদক: শরীফুল ইসলাম, ৪ আগস্ট ২০২২