রেজা আহম্মেদ জয়, ঝিনাইদহ থেকে ॥ ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শৈলকুপা উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের শপথ গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। দেশের ভাবমুর্তি উজ্জ¦লের জন্য স্থানীয় সরকারের ভুমিকা সব থেকে বেশি। গত ৭ই আগষ্ট বেলা ৩ঘটিকার সময় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই এমপি’র উপস্থিতিতে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মাহাবুব আলম তালুকদার এর নিকট নবনির্বাচিত ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ত্রিবেনী ইউপি তিবেনী দক্ষিন পাড়া মুসাব আলী খানের পুত্র জহুরুল ইসলাম খান, মির্জাপুর ইউপি হুদামাইলমারী পশ্চিমপাড়া মৃত আরশাদ আলী মন্ডলের পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন, দিকনগর ইউপি সিদ্ধি গ্রামের লুৎফর রহমানের পুত্র জিল্লুর রহমান, কাচেরকোল ইউপি কাচেরকোল সিহাব উদ্দিন জোয়ার্দ্দারের পুত্র এ্যাড: সালা উদ্দিন জোয়ার্দ্দার মামুন, সারুটিয়া ইউপি পুরাতন বাখরবা রায়হান উদ্দিনের পুত্র মাহামুদুল হাসান, হাকিমপুর ইউপি নলখোলা মোশাররফ হোসেনের পুত্র কামরুজ্জামান, ধলহরাচন্দ্র ইউপি হুদা কুশবাড়ীয়া আ: রশিদের পুত্র মতিয়ার রহমান, মনোহরপুর ইউপি দামুকদিয়া পশ্চিমপাড়া মৃত মোস্তফা কামালের পুত্র মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নু, বগুড়া ইউপি বগুড়া গ্রামের বাহাদুর আলী বিশ্বাসের পুত্র নজরুল ইসলাম, আবাইপুর ইউপি পাচপাখিয়া হাজী আ: রশিদের পুত্র হেলাল, নিত্যানন্দপুর ইউপির ফারুক হোসেন, উমেদপুর ইউপি বারইপাড়া মধ্যপাড়া মৃত আজাহার আলী মোল্লার পুত্র সাব্দার হোসেন মোল্লা, দুধসর ইউপির সায়ুব আলী জোয়ার্দ্দার, ফুলহরি ইউপি কাজীপাড়া জোড়াব্রীজপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের কৃতি সন্তান জামিনুর রহমান শপথ বাক্য পাঠের সময় উপস্থিত হয়ে এ শপথ বাক্য পাঠ করেন। দুর্নীতি করবেন না, দেশ ও জাতির উন্নয়নে নিজেকে নিবেদিত রাখবেন এবং দেশের প্রয়োজনে নিজেকে উৎসর্গ করতে সদা প্রস্তুত থাকবেন। সংবিধান ও দেশপ্রেমকে সমুন্নত রাখতে চেয়ারম্যাবৃন্দ কোন অনিয়মের সঙ্গে আপস করবেন না। লিখিত শপথ বাক্যে নিজে পড়ে আবারও স্বাক্ষর করলেন। এভাবেই শুরু হলো নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের পথ চলা। অন্যবারের তুলনায় এবার প্রেক্ষাপট আলাদা। দেশে প্রথমবার দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচন হয়েছে। যারা নির্বাচিত হয়েছে তারা সরাসরি আওয়ামী দলীয় নেতা বা দল থেকে মনোনীত ব্যক্তি। বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্ররাও দলের বাইরে না। এলাকাবাসী আসা করছে এবার সহজে কোন চেয়ারম্যান কোন অনিয়ম বা দুর্নিতি করতে পারবে না। কেননা অন্যবারের তুলনায় এবার চেয়ারম্যানদের দায়বদ্ধতা অনেক বেশি। কোন চেয়ারম্যান অপরাধ করলে বা দুর্নীতি করলে তার দায় পরবে দলের উপর। সামগ্রীক ভাবে সেখানে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। স্থানীয় সমাজ ব্যবস্থায় দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সে কলঙ্ক নিতে চাইবে না। চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে হতদরিদ্র মানুষের বেচে থাকার জন্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্প চালিয়ে আসছে। নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান বৃন্দ যে শপথ বাক্য পাঠ করেছে তাহা সঠিক ভাবে পালন করলে সরকারের ভাবমুর্তী নষ্ট হবে না। স্ব-স্ব ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তাদের কাজের মাধ্যমে এলাকার উন্নয়ন করতে পারবে।
Share This Story, Choose Your Platform!