সাখালিনের গ্যাস নিয়ে বিপাকে জাপান

সাখালিনের গ্যাস নিয়ে বিপাকে জাপান

ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর জন্য রাশিয়াকে শায়েস্তা করতে জাপানও বিলম্ব না করে পশ্চিমের অনেক দেশের মতো একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। এই নিষেধাজ্ঞা যে বুমেরাং হয়ে নিজেদের ওপরও আঘাত হানতে শুরু করতে পারে, সেই হিসাব ভালোভাবে না কষে জাপান এই নিষেধাজ্ঞার পরিমাণ বাড়াতে থাকে।

পশ্চিমের অধিকাংশ দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটো সামরিক জোটের সদস্য হওয়ায় নিজস্ব অবস্থান থেকে নিষেধাজ্ঞার যৌক্তিকতা তুলে ধরার চেষ্টা করে গেছে। অন্যদিকে জাপান এই দুই জোটের সদস্য নয়, আবার নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জাতিসংঘের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। তাই জাপানেরও পশ্চিমাদের মতো অবস্থান নেওয়ার কারণ ছিল না। তবে তা সত্ত্বেও জাপান বলছে, গ্রহণযোগ্য আন্তর্জাতিক নিয়মাবলি ও আইনের শাসনের প্রতি রাশিয়া অবজ্ঞা প্রদর্শন করায় টোকিওকে এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। তবে বাইরের হিসাব হলো—যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক ও বেসামরিক দিক থেকে নানা বন্ধনে জাপান আবদ্ধ থাকায় ওয়াশিংটনের নির্দেশ অমান্য করা টোকিওর পক্ষে সম্ভব নয়। অথচ আইনের শাসনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে ইরাক, আফগানিস্তান কিংবা লিবিয়ায় যখন পশ্চিমা হামলা হয়েছে, তখন জাপানের অবস্থান ছিল একেবারেই ভিন্ন, অনেকটা যেন মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকা। সম্ভবত এ কারণে যে সেসব দেশে হামলা চালানো আগ্রাসী শক্তি ছিল মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা।

Explore More Districts