জেলায় বর্তমানে মোট ৯ হাজার ১শ’ ২৩ নারী ল্যাকটেটিং ও মাতৃত্বকালিন ভাতা পাচ্ছেন। ৩১ মে, ২০২২ ( মঙ্গলবার) মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার ৩টি পৌরসভার ২হাজার ১শ’ নারীকে প্রতিমাসে ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা ল্যাকটেটিং মাদার ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। জেলার ৩টি উপজেলার ৩৯টি ইউনিয়নের ৬হাজার ৬শ’ ৭৩ জন নারীকে মাসে ৫৩ লাখ ৩৮ হাজার ৪শ’ টাকা মাতৃত্বকালিন ভাতা প্রদান করা হচ্ছে।এ ছাড়াও কালিয়া উপজেলায় মা ও শিশু সহায়তা তহবিলের আওতায় আরো ৩৫০জন নারীকে ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। প্রতিমাসে ৮শ’ টাকা হারে এই ভাতা ব্যাংকের মাধ্যমে প্রদান করা হয়।
জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ল্যাকটেটিং মাদার ভাতার উপকারভোগীদের মধ্যে নড়াইল পৌরসভায় ১হাজার ১শ’ জন, কালিয়া পৌরসভায় ৫শ’৫০ জন এবং লোহাগড়া পৌরসভায় ৪শ’ ৫০ জন নারী রয়েছেন।অন্যদিকে মাতৃত্বকালীন ভাতা পাচ্ছেন নড়াইল সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ১হাজার ৮শ’৮৫ জন নারী, লোহাগড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ১হাজার ৭শ’ ৬২ জন নারী এবং কালিয়া উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ৩হাজার ২৬ জন নারী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরো জানা যায়, পৌরসভায় ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ এবং উপজেলায় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা উপকারভোগীদের আবেদন যাচাই-বাছাই করে থাকেন। পরে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয় থেকে উপকারভোগীদের নাম চুড়ান্ত করা হয়।এরপর তারা প্রত্যেকে ১০টাকা দিয়ে ব্যাংক হিসাব খোলার পরে তাদের হিসাবে ভাতার টাকা পৌঁছে যায়। উপকারভোগী তালিকাভূক্ত হবার পর ৩ বছর যাবত এ ভাতা পেয়ে থাকেন।
নড়াইল মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মৌসুমী রানী মজুমদার জানান,অপেক্ষাকৃত দরিদ্র পরিবারের মহিলাদের ল্যাকটেটিং মাদার ভাতা ও মাতৃত্বকালিন ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকে। তিনি আরো বলেন, অর্থনৈতিক দৈন্যতার কারণে মায়েরা যাতে পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণ থেকে বঞ্চিত না হন এবং তাদের সন্তানদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যাতে পুষ্টির ঘাটতি না হয় সে লক্ষ্যে সরকারের এ ভাতা প্রদান সময়োপযোগী পদক্ষেপ ।