জামিনে মুক্ত ১২ নারী নেত্রী
স্টাফ রিপোর্টার ঃ নগরীতে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ৯২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৭০০/৮০০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাতেই খুলনা সদর থানার এস আই বিশ^জিৎ কুমার বসু বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় খুলনা বিএনপির প্রভাবশালী নেতা রকিবুল ইসলাম বকুল, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা, জেলা আহ্বায়ক আমীর এজাজ খানসহ নগর ও জেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের শীর্ষস্থানীয় সব নেতাকে আসামি করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার এই মামলায় বিএনপির ৪১ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক রেহেনা ঈসা, সাবেক কাউন্সিলর আনজিরা খাতুন, মুন্নি জামান, মিসেস মনি, কাওসারী জাহান মঞ্জুসহ ১২ নারী নেত্রীকে জামিন দেন। একই মামলায় মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনসহ ২৯ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ সময় নগর ও জেলা বিএনপি শীর্ষ নেতারা আদালত চত্বরে উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির আইনজীবীরা জানান, মহানগর হাকিম আল আমিন-এর আদালতে বিএনপির ৪১ জন নেতাকর্মীর জামিনের আবেদন জানানো হয়। আদালত মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক রেহানা ঈসাসহ ১২ জনের জামিন মঞ্জুর করেন। তবে ২৯ জন পুরুষ নেতাকর্মীর জামিনের শুনানির জন্য আগামী রোববার দিন ধার্য্য করেছেন আদালত। তাদেরকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার বিকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের প্রায় ৫০ জন আহত হন। আটক করা হয় ৪১ জনকে। সংঘর্ষের ঘটনায় রাতেই খুলনা সদর থানার মামলা হয়।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম জহির, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, নগর যুবদল সভাপতি মাহাবুব হাসান পিয়ারু ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইবাদুল হক রুবায়েত, জেলা ছাত্রদল সভাপতি আবদুল মান্নান মিস্ত্রী ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা তুহিন, নগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইসতিয়াক আহম্মেদ ইস্তি ও সদস্য সচিব তাজিম বিশ্বাস, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি একরামুল হক হেলাল, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাসুদ পারভেজ বাবু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহম্মেদ সুমন, নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুল হাসান দুলু, কাজী মাহামুদ আলী, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ ও শেখ সাদী, শ্রমিক দল নেতা মজিবুর রহমান ও শফিকুল ইসলাম শফি, বিএনপি নেতা ফরিদ মোল্যা, ফারুক হোসেন, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, একরামুল কবির মিল্টন, স.ম আব্দুর রহমান, শফিকুল ইসলাম টিপুসহ মোট ৯২ জন।
