তিন মাস অতিবাহিত হলেও চার্জশিট দাখিল হয়নি

তিন মাস অতিবাহিত হলেও  চার্জশিট দাখিল হয়নি

জগন্নাথপুর অফিস
জগন্নাথপুর পৌর শহরের জগন্নাথপুর বাজারের আব্দুল মতিন মার্কেটে অভি ফার্মেসি থেকে প্রবাসী স্ত্রীর ছয় টুকরা লাশ উদ্ধারের ঘটনার তিন মাস অতিবাহিত হলেও মামলার চূড়ান্ত অভিযোগপত্র চার্জশিট প্রদান করা হয়নি। আলোচিত এ হত্যাকা-ের মামলাটি পুলিশের অপরাধ দমন বিভাগ সিআইডি তদন্ত করছে।
বৃহস্পতিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক লিটন দেওয়ান জানান, মামলার চূড়ান্ত অভিযোগপত্র চার্জশিট দাখিলের জন্য কাজ চলছে।
মামলার প্রধান আসামি জিতেশ গোপ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, ৩০ হাজার টাকার লোভে তিনি একাই ঐ নারীকে হত্যা করে লাশ ছয় টুকরা করার কথা স্বীকার করেন। এ মামলায় অভিযুক্ত আরো দুইজন জেল হাজতে রয়েছেন। তাদের সম্পৃক্ততার বিষয় তদন্ত চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
মামলার বিবরণ ও পুলিশের সিআইডি অপরাধ দমন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জগন্নাথপুর পৌরসভার পেছনের আবাসিক এলাকার বাসিন্দা সৌদিআরব প্রবাসী ছুরুক মিয়ার স্ত্রী শাহানাজ পারভীন স্বামীর পাঠানো ৩০ হাজার টাকা বিকাশ থেকে উত্তোলন করে পৌর পয়েন্টের অভি ফার্মেসিতে ঔষধের জন্য যান। সেখানে ফার্মেসি মালিক জিতেশ গোপ ঘুমের ঔষধ সেবন করিয়ে শাহানাজ পারভীন কে ঘুম পাড়িয়ে নগদ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যান। পরে বালিশ চাপা দিয়ে তাকে হত্যা করেন। রাতে সে লাশ ছয় টুকরা করে। পরদিন সকালে ফার্মেসি থেকে নারীর ছয় টুকরা লাশ উদ্ধার করে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ। ১৮ ফেব্রুয়ারি সিআইডি ঢাকা থেকে ফার্মেসি মালিক জিতেশ গোপ কে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর সিআইডির জিঙ্গাসাবাদে জিতেশ প্রাথমিকভাবে গণধর্ষণ শেষে ওই নারীকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করার পরে লাশ ছয় টুকরা করে লাশ গুমের পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে জানান।
এ ঘটনায় ১৭ ফেব্রুয়ারি শাহানাজ পারভীন এর ভাই হেলাল মিয়া বাদী হয়ে জিতেশ গোপ কে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সিআইডির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জিতেশ গোপ তার সঙ্গে অনজিৎ গোপ ও অসিত গোপ থাকার কথা স্বীকার করলে তাদের কে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে জিতেশ গোপ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে অনজিৎ গোপ ও অসিত গোপ তার সঙ্গে ছিল না বলে জানায়।
অভি ফার্মেসির মালিক জিতেশ গোপ কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার সইলা গ্রামের যাদব গোপের ছেলে। অনজিৎ গোপ কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার শৈলা গ্রামের রসময় গোপের ছেলে। অসিত গোপ নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার আলীপুর গ্রামের পতিত পাবন গোপের ছেলে। তিনজনই বর্তমানে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে রয়েছে।
মামলার বাদি হেলাল আহমদ বলেন, আমার বোনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই। নিরপরাধ কেউ থাকলে তদন্তে প্রমাণ হবে।

Explore More Districts