তিন ওভারেই ভেলোসিটির দুই উদ্বোধনী ব্যাটার শেফালি ভার্মা ও যস্তিকা ভাটিয়া ৩২ রান তুলে ফেলার পর পাওয়ার প্লের চতুর্থ ওভারে সালমাকে বোলিংয়ে আনেন ট্রেইলব্লেজার্স অধিনায়ক। কিন্তু পাওয়ার প্লের ওই সময়েই দারুণ অফ স্পিনে চতুর্থ ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়েছেন সালমা, পাশাপাশি ওভারের শেষ বলে বোল্ড করে দেন ভাটিয়াকে।
কিন্তু সালমার এমন দারুণ শুরুর আনন্দই নিজের পরের ওভারে মাটি! পঞ্চম ওভারের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে শেফালি ভার্মা ঝড় তুলেছিলেন, রাজেশ্বরী গায়কোয়াড়ের সেই ওভারের প্রথম ৫ বলেই ৩ চারে নিয়েছিলেন ১৪ রান। শেফালি আউট হওয়ার সময়ও অন্য প্রান্তে কোনো বল না খেলে ০ রানে অপরাজিত কিরন প্রভু নাভগিরে পরের ওভারে যেন ‘শেফালি’ হয়ে উঠলেন! পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে সালমার প্রথম ও শেষ বলে দুই ছক্কা মেরেছেন, পঞ্চম বলে চার! ওভারে আসে ১৮ রান।
ওই ওভারের পর আর বোলিং পাননি সালমা। পেলে কে জানে, নাভগিরের আগ্রাসনের সামনেই হয়তো পড়তে হতো তাঁকে! তিনে নামা নাভগিরে যে নাভিশ্বাস তুলেছিলেন ট্রেইলব্লেজার্স বোলারদের।
৩৪ বলে ৫ চার ও ৫ ছক্কায় করেছেন ৬৯ রান। অর্ধশতক করেছেন ২৫ বলে, যা মেয়েদের এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে দ্রুততম। কিন্তু অন্য প্রান্ত থেকে কাউকে পাশে পাননি নাভগিরে।
তাঁর পর আর কোনো ব্যাটারই ২০-এর ঘরে যেতে পারেননি। ১৭তম ওভারে দলকে ১৫৩ রানে রেখে ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে নাভগিরে ফেরার পরই হয়তো ট্রেইলব্লেজার্সের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।