#নয়াদিল্লি:
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল অবস্থা গোটা দেশের। এমন পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়া যেন আরো বেশি করে সমস্যা তৈরি করছে। একের পর এক ফেক নিউজ ছড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। কখনো করোনার ওষুধ, কখনো করোনা ছড়ানোর ভুলভাল কারণ রটে যাচ্ছে। বহু মানুষ এসব গুজবে কান দিয়ে আরো বেশি সমস্যায় পড়ছেন। এমনিতেই করোনা সম্পর্কিত একের পর এক গুজব ছড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার যেমন ছড়াল, ভারতে করোনাভাইরাসের এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার পেছনে আসলে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক এর টেস্টিং দায়ী।PIB জানিয়েছে, এই ধরনের খবরের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। তবুও বহু মানুষ এমন ফেক নিউজ বিশ্বাস করেছেন। এমনকী কেউ কেউ আবার নিজের প্রোফাইল থেকে এমন ভুয়া খবর শেয়ার করেছেন। যার জেরে বহু মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে।
সম্প্রতি এক মিনিট কুড়ি সেকেন্ড-এর একটি অডিও মেসেজ ছড়িয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। ভিডিওতে বলা হচ্ছে, ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক-এর জন্যই দেশের এমন খারাপ অবস্থা। ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক টেস্টিং-এর জন্যই নাকি করোনাভাইরাস আরও দ্রুত গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। সেই সঙ্গে আরও দাবি করা হচ্ছে, আসলে করোনাভাইরাস বলে নাকি কোনও কিছুর অস্তিত্বই নেই! সবই হচ্ছে ফাইভ-জি টেকনোলজি টেস্টিং এর জন্য! এত মানুষ অক্সিজেনের অভাবে মারা যাচ্ছেন সারা দেশে। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বহু মানুষ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এসবই নাকি ভুয়া! সবই নাকি সাজানো ঘটনা। দেশজুড়ে এত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে শুধুমাত্র ফাইভ-জি টেকনোলজি টেস্টিং এর জন্যই।
एक ऑडियो मैसेज में दावा किया जा रहा है कि राज्यों में 5g नेटवर्क की टेस्टिंग की जा रही है जिस कारण लोगों की मृत्यु हो रही है व इसे #Covid19 का नाम दिया जा रहा है। #PIBFactCheck: यह दावा #फ़र्ज़ी है। कृपया ऐसे फ़र्ज़ी संदेश साझा कर के भ्रम न फैलाएँ। pic.twitter.com/JZA9o5TuRv
— PIB Fact Check (@PIBFactCheck) May 6, 2021
পিআইবি ফ্যাক্ট চেক-এর পর এমন দাবি নস্যাত্ করেছে। তারা জানিয়েছে, এই য়ুক্তির কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই। শুধুমাত্র মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশেই এমন ভিডিও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছড়ানো হচ্ছে। পিআইবি-র তরফে জানানো হয়েছে, এই ধরনের অডিও মেসেজের কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই। তাই লোকজনকে এই ধরনের খবর শেয়ার করতে বারণ করছে পিআইবি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও জানানো হয়েছে, ফাইভ-জি টেকনোলজি ও করোনাভাইরাস-এর সঙ্গে জুড়ে যে দাবী করা হচ্ছে তা আসলে ভুয়া। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেডিকেল সাইন্সে প্রমাণ হয়েছে, কোভিড নাইনটিন আসলে একটি মারণ ভাইরাস। আর এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বজুড়ে এখন মহামারী পরিস্থিতি।