স্টাফ রিপোর্টার: ‘আমরা পৌর পরিষদের পক্ষ থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছিলাম ডিসি সাহেবকে। এবিষয়টি তাৎক্ষনিক এসপি সাহেবকেও আমরা অবহিত করেছি। আজ বৃহস্পতিবার ২৮ এপ্রিল দুপুরে সে সময় শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আসামী গ্রেফতার হয়নি। আসামীরা গ্রেফতার না হলে পৌরসভার পানি ও বিদ্যুৎ সেবা সমূহ বন্ধের কঠোরতম কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।’
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে নড়াইল পৌরসভার নতুন ভবনের সম্মেলন কক্ষে মেয়রের দায়ের করা মামলার ঘটনা সম্পর্কে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন পৌর মেয়র আনজুমান আরা। পবিত্র রমজান ও ঈদের কারনে ঘোষিত কঠোরতম কর্মসূচি থেকে সাময়িক বিরত থাকারও ঘোষনা দেন তিনি। তবে শুক্রবার ২৯ এপ্রিল থেকে বেঁছে বেঁছে পৌর সেবা বন্ধের ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান মেয়র।
এসময় তিনি আরও বলেন, এই সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের যদি দমন করা না যায় তাহলে নড়াইল পৌরসভার সাধারণ নাগরিকগণ নানাভাবে নিগৃহীত হবে এবং বিভিন্ন সেবা থেকে বঞ্চিত হবে। এমনটি ঘটতে থাকলে, প্রয়োজন পৌরসভার সাধারণ মানুষই সন্ত্রাস বিরোধী আন্দোলনে মাঠে নামতে বাধ্য হবে। তাতে আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি খুবই ভয়ঙ্ক হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
এ সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আরও বলেন, সাবেক ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নামধারী কয়েক সন্ত্রাসী মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে আমার সাথে পৌর ভবনের নিজ কক্ষে অশালীন আচরণ ও হুমকি-ধমকি প্রদর্শনের পর থানায় মামলা এবং স্মারকলিপি প্রদান করা হলেও পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তাতার করতে পারেনি। উল্টো সন্ত্রাসারীরা আজ নড়াইলে মানববন্ধন করেছে। তিনি সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্যানেল মেয়র-১ কাজী জহিরুল হক, কাউন্সিলর রেজাউল বিশ^াস, কাউন্সিলর শরফুল আলম লিটু, আহসান হাবিব তুফান, মোহাম্মদ রাজু, ইপি রাণী বিশ^াস, আঞ্জুমনোয়ারাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৬ এপ্রিল শহরের পুরাতন বাসটার্মিনালে পৌরসভার অস্থায়ি কার্যালয়ে পৌরসভার ১৪২৯ সালের হাট-বাজার, টার্মিনাল ইজারা সংক্রান্ত সভা চলছিল। দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক নিলয় রায় বাঁধনসহ ৮/১০ মেয়রের কার্যালয়ে অগ্নেয়স্ত্রসহ প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। এসময় চাঁদার দাবিতে মেয়রকে হত্যাসহ পৌরসভায় প্রবেশ করতে না দেয়ার হুমকি দেয়া হয় বলেও অভিযোগ করা হয়। এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক পৌর পরিষদ জরুরুী সভায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।
এ ঘটনায় উচ্ছাস, শাওন ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক নিলয় রায় বাঁধনসহ অজ্ঞাত ৮/১০কে দায়িকরে ওই রাতেই মেয়র বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং২৮/২০২২, তারিখ-২৭/০৪/২০২২। এ ঘটনায় ২৭ এপ্রিল নড়াইল পৌর পরিষদ জেলা প্রশাসকের নিকট দ্রুত সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করে।
