আপডেটঃ 12:38 pm | April 20, 2022
প্রদীপ ভৌমিক ॥ ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমোকসুর সাবেক জি এস কাজী আজাদ জাহান শামীমকে ১৯ এপ্রিল জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভায় সংগঠনের যুগ্ন সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে গঠনতন্ত্রের৪৭(৯) ধারা মোতাবেক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা হল “জাগো নিউজ 24 ডটকম “এ এক সাক্ষাৎকারে আজাদ জাহান শামীম বলেছেন”তৃণমূলের কর্মী হিসেবে আমার জেলায় যা হচ্ছে তা কোন সম্মেলন নয়। সমাবেশে কমিটি করে দেওয়া হচ্ছে। নেতৃত্ব নির্বাচনে ভূমিকা রাখছেন জেলার সভাপতি , সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক কমিটি। এতে তৃণমূল ও ত্যাগী নেতাকর্মীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। নেতা নির্বাচনে পদ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠছে। দল ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে।”সাক্ষাৎকারটি প্রকাশের পর ত্রিশালের প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ফজলে রাব্বী তার ফেসবুকে একে সংগঠনের শৃঙ্খলা বিরোধী কার্যকলাপ বলে আখ্যায়িত করে ৪৭(৯) ধারা অনুযায়ী আওয়ামী লীগের জেলা কমিটি থেকে বহিষ্কারের দাবি জানায়। পরবর্তীতে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির নির্দেশে সাধারণ সম্পাদক কার্যকরী কমিটির মিটিং আহব্বান করে ১৯ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুর ২ টায়। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট জহিরুল হক খোকার সভাপতিত্বে কার্যকরী কমিটির সভায় সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে জেলা কার্যকরী কমিটি যুগ্ম সম্পাদক আজাদ জাহান শামীমকে তার পদ থেকে সরাসরি অব্যাহতি প্রদান করে । বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিয়ম অনুযায়ী আজাদ জাহান শামীমকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত ও কারণ জানিয়ে কেন্দ্র বরাবর জেলা-কমিটি একটি চিঠি প্রদান করবে। কেন্দ্রীয় কমিটি বিচার-বিশ্লেষণ করে অভিযোগের সত্যতা যাচাই পূর্বক অব্যাহতি পত্রটি গ্রহণ করলে তা কার্যকর বলে বিবেচিত হবে। এক মাসের ভিতর কেন্দ্রীয় কমিটি যদি কোন প্রকার জবাব প্রদান না করে তাহলে অভিযোগপত্রটি গৃহীত হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে। আজাদ জাহান শামীম’এর সাক্ষাৎকারের বিষযটি যদি কেন্দ্রের বিবেচনায় শৃঙ্খলা পরিপন্থী বলে প্রমাণিত হয় তাহলে কেন্দ্রীয় কমিটি অব্যাহতি পত্রটি গ্রহণ করতে পারে। আর অভিযোগপত্রটি যদি গ্রহণযোগ্য না হয় তাহলে তা বাতিল করে দিতে পারে ও যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। আজাদ জাহান শামীম’এর কাছে তার অব্যাহতি প্রসঙ্গে নাগরিক আন্দোলনের ইফতার পার্টিতে জানতে চাইলে জানায় আত্মপক্ষ সমর্থনের কোন সুযোগ প্রদান না করে আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও কেন্দ্রীয় কমিটি বরাবর ময়মনসিংহের জেলা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্ম কান্ড ও তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে জবাব প্রদান করবেন। তারপর যদি কেন্দ্রীয় কমিটি তাকে অব্যাহতি প্রদান করে তাহলে তিনি তা মাথা পেতে নেবেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ থাকে যে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল ওপেন হার্ট সার্জারির জন্য বর্তমানে অবসরে আছেন ,তার জায়গায় যুগ্ন সম্পাদক কাজী আজাদ জাহান শামীম চলতি দায়িত্ব পালন করছিলেন। আজাদ জাহান শামীমকে অব্যাহতি দেওয়ার পর সম্ভবত অপর যুগ্মসম্পাদক এম এ কুদ্দুস তার স্থলাভিষিক্ত হয়ে কার্যকরী কমিটির সম্পাদক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেনের পক্ষে সাময়িক চলতি দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়।