ফেনীতে রায় শুনে ক্ষুব্দ আসামী, ছুড়ে মারলেন জুতো ! – prothom-feni.com

ফেনীতে রায় শুনে ক্ষুব্দ আসামী, ছুড়ে মারলেন জুতো ! – prothom-feni.com

আদালত প্রতিবেদক->>

ফেনীর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বৃহস্পতিবার একটি হত্যা মামলার রায় প্রদান করেন বিচারক জেলা ও দায়রা জজ ড. জেবুন্নেছা। রায় ঘোষণার পর আসামীকে এজলাস থেকে পুলিশ কাস্টরিতে নেওয়ার সময় আদালতের বারিন্দায় আইনজীবীকে লক্ষ্য করে জুতো ছুরে মারেন।

বিস্তারিত আসছে…

এর আগে পরশুরাম উপজেলায় তরিকুল ইসলাম (৩) নামে এক শিশু হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ ড. জেবুন্নেছা এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আরজিনা আক্তার নিহত শিশু তরিকুলের জেঠি। তিনি ২০১৯ সালে ২৩ নভেম্বর থেকে কারাগারে রয়েছেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) হাফেজ আহমদ জানান, ২০১৯ সালের ২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের দক্ষিণ মোহাম্মদপুর গ্রামে বাড়ির পাশে জমির আইল থেকে তরিকুল নামে তিন বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই শিশু দক্ষিণ মোহাম্মদপুর গ্রামের মাওলানা আবু বকরের একমাত্র ছেলে। এ ঘটনায় পরশুরাম মডেল থানায় ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরের দিন ২৩ নভেম্বর দুপুরে সন্দেহভাজন হিসেবে তরিকুলের চাচি আরজিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পরশুরাম মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রিয়াউল জব্বার। একই বছরের ২৪ নভেম্বর বিকেলে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তানিয়া ইসলামের আদালতে আরজিনাকে হাজির করলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আরজিনাকে অভিযুক্ত করে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রিয়াউল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর চার্জ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন। ২০২১ সালের ১২ জানুয়ারি এ মামলার প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা এ মামলায় ২৫ জনকে সাক্ষী করেন। এ মামলার ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেট, চিকিৎসক ও বাদীসহ ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। গত ১৪ মার্চ মামলার যুক্তিতর্ক শেষে আদালত রায়ের সময় নির্ধারণ করেন।

আইনজীবী হাফেজ আহমদ বলেন, ‘আমরা বাদীর সঙ্গে কথা বলে সর্বোচ্চ সাজার জন্য উচ্চ আদালতে আপিল করব।’

অপরদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল ছাত্তার রায়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তিনিও রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।

Sharing is caring!

Explore More Districts