চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে সিমেন্ট ক্লিংকার নিয়ে ডুবে যাওয়া এমভি টিটু-১৪’র নিখোঁজ নাবিক হানিফ শেখের (২৫) মরদেহ পাওয়া গেছে।
সোমবার (২১ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারি ইউনিয়নে ভাটিয়ারি স্টিল শিপব্রেকিং ইয়ার্ডের অদূরে বঙ্গোপসাগর উপকূল থেকে নৌ পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।
নিহত হানিফ শেখের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় চলছে শোকের মাতম।
সরেজমিনে সোমবার ( ২১ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় নিহত হানিফ শেখের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, কান্না করতে করতে স্বজনরা মূর্ছা যাচ্ছেন। প্রতিবেশীরা তাদের সান্ত্বনা দিচ্ছেন।
আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ধলাইরচর গ্রামের হান্নান শেখের ছেলে হানিফ। চার ভাই-বোনের মধ্যে হানিফ সবার বড়।
হানিফের মা সালমা বেগম জানান, গত সাত মাস আগে হানিফ বাড়ির পাশে প্রতিবেশী জাহাজের মাস্টার ফরিদ শেখের মাধ্যমে ওই জাহাজে চাকরি নেন। ঈদে তার বাড়ি আসার কথা ছিলো।
এদিকে সোমবার সন্ধ্যায় হানিফ শেখের চাচা আনিচ শেখ তার মরদেহ গ্রহণ করেছেন। মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে রওনা দিয়েছেন সে। মঙ্গলবার ভোরে মরদেহ বাড়িতে পৌঁছাতে পারে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
গত ১৯ মার্চ ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরের আলফা অ্যাংকারেজে পারকি সমুদ্র সৈকতের কাছাকাছি সাঙ্গু দোভাষিবাজারের অদূরে বঙ্গোপসাগরে সিমেন্ট ক্লিঙ্কারবোঝাই জাহাজটি ডুবে যায়।
বন্দর কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, জাহাজে নাবিক ও শ্রমিকসহ ১৪ জন ছিলেন। ঘটনার পরপরই কোস্টগার্ড ৫ জন এবং বন্দরের টিম একজনকে জীবিত উদ্ধার করে।
নিখোঁজ ছিলেন আরও ছয় জন। একইদিন রাতের মধ্যে কোস্টগার্ড জীবিত অবস্থায় আরও দু’জনকে উদ্ধার করে। বাকি চারজন নিখোঁজের মধ্যে এখনও তিনজনের সন্ধান মেলেনি। দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজটি আবুল খায়ের গ্রুপের বলে জানা গেছে।