গোপালগঞ্জের মডেল স্কুলে শিশুদের পিঠা উৎসব
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক,গোপালগঞ্জ
বসন্তের আবহে আর উৎসব আমেজে গোপালগঞ্জে শিশুরা মেতেছিলো পিঠা উৎসবে । বাসন্তি পোশাকে বসন্তের মনোরম সকালে কোমলমতি শিশুরা হাজির হয় বিদ্যালয়রে প্রিয় ক্যাম্পাসে। ক্যাম্পাস চত্বর সাজানো হয় বর্নিল সাজে। বসানো হয় বাহারি পিঠার স্টল। শিক্ষার্থী, অবিভাবক, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে ওঠে। এতে অংশ নিয়ে সবাই আবহমান বাংলার ঐতিহ্যের রকমারি পিঠার স্বাদ গ্রহন করেন। সেই সাথে শিশুরা পরিবেশন করে স্বাধীনতা, বসন্তের গান ও নৃত্য। জমজমাট নৃত্য ও গান এ উৎসবকে আরো বর্নিল করে তোলে।
বুধবার সকালে গোপালগঞ্জ জেলা শহরের প্রধান শিশু বিদ্যাপিঠ এস. এম. মডেল সরকারী বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা ফিতা কেটে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম মিটু।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনন্দ কিশোর সাহা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মোসাঃ নাজমুন্নাহার, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুকুমার মিত্র,বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া খানম সহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।
ছোট ছোট সোনমণিদের নৃত্য-গান উৎসবের সবাইকে মুগ্ধ করে। সেই সাথে স্টলে ছিলে চিতই, ভাপা, পাটিসাপটা, পুলি, আন্দশা, বকুল, গোকুল,চুষি সহ নানা ধরনের পিঠার সমাহার।
বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থী মানসুরা খানম বলে, বসন্ত ও পিঠা উৎসবে অংশ নিয়ে আমরা খুব আনন্দঘন একটি দিক কাটিয়েছি। করেনার পর এ ধরণের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পেরে আমরা খুব খুশি।
শিক্ষার্থী অন্তরা বলে, আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক সব সময় ব্যতিক্রম অনুষ্ঠান করেন। এতে অংশ নিয়ে আমরা আনন্দে মেতে উঠি। পাশাপাশি আমাদের বাংলা সংস্কৃতি চর্চা করি। নতুন নতুন অনেকে কিছুই আনন্দের ছলে জানতে ও শিখতে পারি।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলাতানা শিশুদের বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্পর্কে জানা ও সত্য কথা বলার উপদেশ দিয়ে বলেন, উৎসব আনন্দে তোমাদের মধ্যে নতুন উদ্দিপনার সৃস্টি হচ্ছে। এটি ধরে রেখে তোমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া খানম বলেন,শিশুদের আমরা উৎসব মুখর পরিবেশে শিক্ষা দেই। এরমধ্য দিয়েই তারা নতুন নতুন সব বিষয় জানতে পারে। মহামারী করোনার কারণে আনেক অনুষ্ঠান আমাদের ঘরোয়াভাবে স্বল্প পরিসরে করতে হয়েছে। আশা করছি দ্রæত এ সংকট কেটে যাবে। আমরা উৎসবের আমেজে শিশুদের শিক্ষা, সংস্কৃতি সহ সব বিষয়ে শেখাতে পারবো। এতে তাদের মেধা ও মননের বিকাশ ঘটবে।
এ জাতীয় আরো খবর..