স্টাফ রিপোর্টার
বৃষ্টিতে ফসলের জন্য খুবই ভাল হয়েছে। কিন্তু ক্ষতি হয়েছে বিভিন্ন জাতের সবজির। রবি ও সোমবার প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে। এই কারণে বোরো ধানের ভাল হলেও কিছুটা ক্ষতি হয়েছে সবজি ফসলের। সুনামগঞ্জের হাওর- বিলে এবার বোরো ধানের উৎপাদন ভাল হবে, এমন আশাবাদী কৃষকেরা।
সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নে, জাহাঙ্গীরনগর, সুরমা, কুরবাননগর, মোল্লাপাড়া, লক্ষণশ্রী, কাঠইর, মোহনপুর, গৌরারং ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে গত দুইদিন প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে কাংলার হাওর, সিলুয়া বিল, দেখার হাওর, জাওয়ার হাওরসহ বিভিন্ন খাল বিলে রোপিত বোরো ফসলের জন্য বৃষ্টি অনেকটা ভাল হয়েছে। গ্রামের পাশে আবাদ করা সবজি ক্ষেতের বিভিন্ন জাতের সবজির বেশ ক্ষতি হয়েছে।
একাধিক কৃষক জানান, সময়মত বৃষ্টিপাত হওয়ায় বোরো জমিতে পানির জন্য কষ্ট করতে হবে না। এই বৃষ্টিতে ধান গাছের গোড়া হবে বড়, শীষও হবে মোটা। শীষে বেশি পরিমাণে ধান আসবে। ধানে চিটা হওয়ার আশংকা অনেকটা কমে গেছে।
অপর দিকে এই বৃষ্টির কারণে সবজি ফসলের বেশ ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে আলু নষ্ট হয়েছে বেশি। একই সাথে টমেটো ও কাঁচা মরিচের ক্ষতি হয়েছে।
বেরীগাঁও গ্রামের কৃষক আব্দুল হক বলেন, আমাদের বোরো জমিতে পানি দেওয়া লাগবে না। গত দুইদিনের বৃষ্টিতে গাছ বড় হয়ে ধান ধরা শুরু হবে। এবার বৃষ্টি হওয়ায় ফসলের জন্য খুবই ভাল হয়েছে।
ছফেরগাঁও গ্রামের সবজি চাষী আব্দুল হামিদ বলেন, আমাদের অনেক বোরো ধানের জমি আছে। বৃষ্টি না হওয়ায় পানি সমস্যায় ভুগছিলাম। বৃষ্টি হওয়ায় এখন পানি দেয়া লাগবে না জমিতে। আশা করি ধানের ফসল খুবই ভাল হবে।
বেতগঞ্জ বাজার এলাকার কৃষক কিরণ মিয়া বলেন, বৃষ্টি ধানের জন্য ভাল হয়েছে। অপরদিকে সবজির কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।
আমপারা গ্রামের ওয়াহাব মিয়া বলেন, সবজি ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে আলুর ক্ষতি হয়েছে বেশি। একই সাথে মরিচ ও টমেটোর ক্ষতি হয়েছে।
সদর উপজেলা কৃষি অফিসার সালাহ উদ্দিন টিপু বলেন, বৃষ্টি হওয়ায় ধানের অনেক লাভ হবে। পানি সংকট নিরসন হয়েছে। ধান গাছের গোড়া রসালো হয়েছে। এখন যদি সার দেয় ধানের জমিতে তখন সারের কার্যকারিতা বাড়বে। তিনি বলেন, সবজি চাষে আলুর সামান্য ক্ষতি হয়েছে। অন্যান্য সবজির তেমন ক্ষতি হয়নি।
