৮ কুকুরছানা পানিতে ডুবিয়ে হত্যার অভিযোগে পাবনার সেই নারী গ্রেপ্তার

৮ কুকুরছানা পানিতে ডুবিয়ে হত্যার অভিযোগে পাবনার সেই নারী গ্রেপ্তার

দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
পাবনার ঈশ্বরদীতে এক নারীর বিরুদ্ধে ৮টি কুকুরছানা পানিতে ডুবিয়ে হত্যার অভিযোগে বুধবার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রাণব কুমার জানান, মামলা দায়েরের পর নারীটি রহিমপুর গার্লস স্কুলের কাছে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেওয়ায় রেইড পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত নারীর নাম নিশি খাতুন। তিনি ক্ষুদ্র কৃষক ফাউন্ডেশনের ঈশ্বরদী উপজেলা কর্মকর্তার, হাসানুর রহমান নয়নের, স্ত্রী। তিনি এবং তার স্বামী ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের সরকারি কোয়ার্টারে বসবাস করছিলেন।
সূত্র জানায়, নিশি খাতুন ৩০ নভেম্বর রাতে কুকুরছানাগুলোকে একটি বস্তায় ভরে পুকুরে ফেলে হত্যা করেন। পরের দিন সকালে তাদের ছেলে এই ঘটনার তথ্য জানায় ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কার্যালয়ের কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর আলমকে। পরে পুকুর থেকে আটটি মৃত কুকুরছানা উদ্ধার করা হয়, যেগুলো এখনও বস্তায় ছিল।
ঘটনাটি সামাজিক ও গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
২ ডিসেম্বর ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন প্রাণী কল্যাণ আইন ২০১৯-এর ৭ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে দায়ের করা হয় এবং নিশি খাতুনকে একমাত্র আসামি করা হয়।
ঘটনাটি গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচিত হওয়ার পর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার এটিকে “অমানবিক” উল্লেখ করে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। পরে, মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা থেকে এনিমেল অ্যাকটিভিস্ট কমিটির একটি তদন্ত দল ঈশ্বরদীতে এসে তদন্ত শুরু করে।
অন্যদিকে, এই নৃশংস ঘটনার কারণে অভিযুক্তের পরিবারকে সরকারি কোয়ার্টার খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ইউএনও মনিরুজ্জামান জানান, তারা ইতিমধ্যেই কোয়ার্টার ত্যাগ করেছেন।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, নিশি খাতুনকে বুধবার আদালতে উপস্থাপন করা হবে।

Explore More Districts