ঢাকা, ২৮ সেপ্টেম্বর – ৬ দফা দাবিতে সারাদেশে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন।
দাবি পূরণ না হলে আগামী ১ অক্টোবর থেকে ইপিআই কার্যক্রম, নিয়মিত টিকাদান, রিপোর্ট প্রদান এবং ১২ অক্টোবরের টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনসহ সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, দেশের তৃণমূল পর্যায়ে শিশুদের প্রাণঘাতী ১০টি রোগ থেকে সুরক্ষায় টিকাদান কার্যক্রমে স্বাস্থ্য সহকারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও তাদের টেকনিক্যাল পদমর্যাদা দেওয়া হয়নি। ফলে তারা চরম বেতন বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।
সংগঠনের নেতারা জানান, ১৯৯৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী দাবি মেনে নিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। পরে ২০১৮ ও ২০২০ সালে আন্দোলনের সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দেন। সর্বশেষ চলতি বছরের মে মাসে তিন মাসের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেওয়া হলেও কোনো অগ্রগতি হয়নি।
এর আগে গত ২৬ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এক মাসের মধ্যে দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে সংগঠনটি আসন্ন টিসিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন সফলভাবে সম্পন্ন করতে সম্মত হয়। তবে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত না হওয়ায় কেন্দ্রীয় দাবি বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি ঘোষণা করা হলো।
ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে—২৮ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান; ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর জেলা সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান এবং ১ অক্টোবর থেকে ইপিআই কার্যক্রম, টিসিভি ক্যাম্পেইনসহ সব কার্যক্রম বর্জন।
স্বাস্থ্য সহকারীদের ৬ দাবি
• নিয়োগবিধি সংশোধন।
• শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক সংযোজন।
• ১৪তম গ্রেড প্রদান।
• ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণ।
• টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান।
• বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণ।
সংগঠনের নেতারা বলেন, আমরা শুধু আশার বাণী শুনে যাচ্ছি। এবার আমরা নিরুপায় হয়েই কর্মবিরতিতে যাচ্ছি। আশা করি অন্তর্বর্তী সরকার বৈষম্যের শিকার দেশের ২০ হাজার স্বাস্থ্য সহকারীর দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করবে।
সূত্র: জাগো নিউজ
এনএন/ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫