৮ অক্টোবর ২০২৩ রবিবার ৭:৩৫:৩৫ অপরাহ্ন |
উপজেলা ভোলার মনপুরা উপজেলা তিন মাস ধরে বিদ্যুিবহীন হয়ে আছে। এর প্রভাব পড়ছে ব্যবসা-বাণিজ্য, গৃহস্থালি, শিক্ষাসহ সব ক্ষেত্রে। মনপুরা বিদ্যুৎ সরবারহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি (ওজোপাডিকো) সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৫ সালে ডিজেলচালিত মেশিনের মাধ্যমে ভোলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন মনপুরা উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা হয়। পরে ২০১৩ সালে চরফ্যাশন থেকে পুরনো দুটিসহ মোট চারটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মেশিনের মাধ্যমে এত দিন ছয় থেকে আট ঘণ্টা করে ৯০০ গ্রাহককে বিদ্যুৎ দিয়ে আসছিল ওজোপাডিকো।
কিন্তু চলতি বছরের জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় এক হাজার কেভিএ (এক মেগাওয়াট) উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন মেশিনটি ব্লাস্ট হয়ে সম্পূর্ণ বিকল হয়ে যায়। বিকল্প হিসেবে একটি ৬৫০ কেভিএ, দুটি ৫০০ কেভিএসহ তিনটি পুরনো মেশিন দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালালেও অতিরিক্ত লোডের কারণে আবার দুটি বিকল হয়ে যায়। বর্তমানে একটি মেশিন দিয়ে কোনো মতে দৈনিক দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ দিয়ে যাচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ।অন্যদিকে উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের প্রায় দুই হাজার ২০০ গ্রাহককে ২০১৫ সাল থেকে সৌরচালিত মিনিগ্রিড বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছে ইলেকট্রো বাংলাদেশ লিমিটেড কম্পানি নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
তবে সেখানে এক ইউনিট বিদ্যুৎ ৩০ টাকা দিয়েও গ্রাহকরা সঠিকভাবে বিদ্যুৎ পাচ্ছে না বলে অভিযোগ। এমন অভিযোগ অস্বীকার করে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানান, তাঁরা গড়ে ১৭ থেকে ১৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ দিয়ে থাকেন।২৪ ঘণ্টা জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করেছে স্থানীয় নাগরিক কমিটিসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। সাধারণ মানুষের একমাত্র দাবি জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ।সম্প্রতি মনপুরা উপজেলায় গিয়ে দেখা যায়, নবম শ্রেণির ছাত্রী তাসনিয়া নিশাতদের বাড়িতে বৈদ্যুতিক সংযোগ থাকলেও তাকে কুপির আলোতে পড়াশোনা করতে হচ্ছে। একই অবস্থা উপজেলার প্রায় সব বাড়িতেই।ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তার জানান, তাঁরা রাত ১০টার পর মাত্র দুই ঘণ্টার জন্য বিদ্যুৎ পান। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে তাঁদের দোকানের ফ্রিজ নষ্ট হয়ে গেছে। বাজারের অন্য ব্যবসায়ীদেরও একই অবস্থা।মনপুরা ওজোপাডিকো আবাসিক প্রকৌশলী আব্দুস ছালাম জানান, বর্তমানে ৫০০ কেভিএর একটি মেশিন চালু থাকলেও সেটি থেকে ২০ কেভিএর বেশি লোড দেওয়া যাচ্ছে না। দু-এক দিনের মধ্যে ৫০০ কেভিএর আরো একটি মেশিন মেরামত করে বসানো হবে।মনপুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জহিরুল ইসলাম জানান, তিনি বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক
শেয়ার করতে ক্লিক করুন: | Tweet |