সারাদেশের মতো বন্দরনগরী চট্টগ্রামেও চলছে জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। এতে জেলার ২৭৩০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। তবে এখনও পর্যন্ত কোথাও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি খবর পাওয়া যায়নি।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে ১৫ উপজেলা সদরে স্থাপিত ভোটকেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। আর এটি চলবে এক টানা ২টা পর্যন্ত।
জানা যায়, ভোট গ্রহণ সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে প্রতিটি কেন্দ্রে মোতায়েন করা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এরই সঙ্গে ভোটের এলাকায় মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে কয়েক প্লাটুন বিজিবি, কোস্টগার্ড ও র্যাবের সদসরা।
এদিকে নির্বাচনে ভোট গ্রহণ মনিটরিং করার জন্য প্রতি ভোট কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। এসব ক্যামেরার মাধ্যমে ঢাকার নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস থেকে নির্বাচনে ভোট গ্রহণ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনের রির্টানিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ পরিবেশে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে একাধিক ইভিএম রাখা হয়েছে। এছাড়া সিসিটিভি ও ইভিএম মেশিন যথাযথভাবে সচল রাখার স্বার্থে এবং ভোটাররা যাতে সুষ্ঠুভাবে তাদের ভোট প্রয়োগ করতে পারেন, সেজন্য ভোটকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট উপজেলা সদরে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলামের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ভোটের মাঠে লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির (নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন) মহাসচিব জয় প্রকাশ নারায়ণ রক্ষিত।
এদিকে সদস্য পদে ২ নম্বর ওয়ার্ডে লড়ছেন আ.ম.ম দিলসাদ, মো. শওকতুল আলম, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে মো. নুরুন্নবী ভুট্টো, মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান, মো. রফিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, সাহেদ সরওয়ার শামীম, মো. আলাউদ্দীন, মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন. কামরুল হোসেন আলাল, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মো. আমান উল্লা খাঁন চৌধুরী, আখতার উদ্দীন মাহমুদ, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মোহাম্মদ আবু আলম, গোলাম মোস্তফা, জাফর আহমেদ, মোহাম্মদ আলমগীর, মো. নুরুল আবছার, এইচ এম আলী আবরাহা, মো. মনজুর হোসেন চৌধুরী, মো. এজাহার মিয়া, মো. সেলিম উদ্দীন, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মোহাম্মদ ইউনুছ, বোরহান উদ্দিন এমরান, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ইসলাম আহমদ, অধ্যাপক মো. রাশেদুল হাসান, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, দেবব্রত দাশ, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে মো. শেখ টিপু চৌধুরী, আবু আহমেদ চৌধুরী, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে এস এম আলমগীর চৌধুরী, মোহাম্মদ আবুল বশর, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে সাহাদত হোসেন চৌধুরী, মোহাম্মদ আবদুল আজিজ চৌধুরী, কল্যাণ বড়ুয়া. মো. হামিদ উল্লাহ, মো. নুরু হোছাইন, এম জিললুল করিম শরীফি, মোজাম্মেল হক সিকদার, মোহাম্মদ আলমগীর কবির, মো. খালেকুজ্জমান, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে মনির আহমদ, গোলাম ফেরদৌস রুবেল, আব্দুল আলীম ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে মোহাম্মদ এরফানুল করিম চৌধুরী লড়ছেন।
এছাড়া ১ নম্বর ওয়ার্ডে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন প্রদীপ রনজন চক্রবর্তী, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে কাজী আবদুল ওহাব, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আবুল কাশেম চিশতী।
অন্যদিকে সংরক্ষিত আসনে ১ নম্বর ওয়ার্ডে জাহান আরা নাজনীন, ইয়াছমনি আক্তার কাকলী, রওশন আরা বেগম, ইসমত আরা সুলতানা, নার্গিস আকতার, ২ নম্বর ওয়ার্ডে দিলোয়ারা ইউসুফ, জুবাইদা ছরওয়ার চৌধুরী নিপা, অ্যাডভোকেট উম্মে হাবিবা, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তাহমিনা আক্তার চৌধুরী, জগদা চৌধুরী, মোস্তফা রাহিলা চৌধুরী, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মোছাম্মৎ দিলু আরা বেগম, দিলুয়ারা বেগম, রেহানা বেগম ফেরদৌস চৌধুরী, সাজেদা বেগম, মোছাম্মৎ ফারহানা আফরীন জিনিয়া ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডে দিলোয়ারা বেগম, রুখসানা আকতার, শিকু আরা বেগম, তসলিমা আকতার, সুরাইয়া খানম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
উল্লেখ্য, নির্বাচনে মোট ২২ টি পদে ৭০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এতে এই জেলার আওতাধীন স্থানীয় সরকারের মোট দুই হাজার ৭৩০ জন নির্বাচিত প্রতিনিধি ইভিএমের মাধ্যমে ভোট দেবেন।