১০ ডিসেম্বর নিয়ে আমরাও প্রস্তুত আছি

১০ ডিসেম্বর নিয়ে আমরাও প্রস্তুত আছি

১০ ডিসেম্বর নিয়ে আমরাও প্রস্তুত আছি

আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর যারা ঢাকায় সমাবেশের নামে সন্ত্রাস করতে চায়, তাদের উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই- তোমরা আর যাই হোক সেদিন যদি তোমরা সুশৃংখল, শান্তি প্রিয় জনসভা করো আমাদের কোন মাথা ব্যাথা নাই। আমরা কিছুই বলতে চাই না। আমরা চিন্তা করি না। কিন্তু যদি সেদিন গণ সমাবেশের নামে কোন ধরনের সন্ত্রাস, নৈরাজ্য অথবা ধ্বংসাত্মক পথ বেছে নেও, আমরা সকলে প্রস্তুত আছি।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর স্টেডিয়ামে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, এদেশের মানুষের জানমাল সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীর উপর অবশ্যই দায়িত্ব বর্তায়। আমরা সকলে প্রস্তুত আছি, আমরা প্রস্তুত থাকবো। এমনকি তোমরা এই শ্রীনগর পদ্মা সেতুর মুখ থেকে ধলেশ্বরী সেতুর মুখ পর্যন্ত সকলে সজাগ থাকবা, সচেতন থাকবা। কারণ, ওই খুনির দলেরা যেন কোনো অপকর্ম করতে পারে। তাদের অপকর্মের দাঁতভাঙা জবাব আমরা দেব।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভেতরে নেতায় নেতায় ষড়যন্ত্র, কর্মীদের সাথে নেতাদের সম্পর্ক নাই। কর্মীরা নেতাদের বিশ্বাস করে না। নেতারা ষড়যন্ত্র করে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য একটা আন্দোলন, একটা কর্মসূচিও তারা দিতে পারে না। তারা খালেদা জিয়াকে ১০ ডিসেম্বর নেতৃত্ব দেওয়াবে। তার মানে ১০ ডিসেম্বর তারা খালেদা জিয়াকে কেরানীগঞ্জে পাঠাতে চায়। এটাই হলো বিএনপির গভীর ষড়যন্ত্র। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিকতার কারনে, খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। বিএনপি চায়না বেগম খালেদা জিয়া বাড়িতে থেকে চিকিৎসা গ্রহন করুক। মির্জা ফখরুল গং রা চায় খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হোক।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, সন্ত্রাসী লুটেরা শক্তি বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্থান বানাতে চায়। লুটেরাদের হাতে বাংলাদেশকে কোন ভাবেই ছাড়া যাবে না। লুটেরাদেরকে মোকাবেলা করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে তারা আগুন সন্ত্রাস করেছিল। আর যাই হোক আমরা ১৭ কোটি বাঙালিকে মৃত্যুর মুখোমুখি ফেলে যেতে পারি না।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মুন্সিগঞ্জ ৩ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আবজালুর রহমান বাবু, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ বদিউজ্জামান ভূইয়া ডাবলু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী তোফাজ্জল হোসেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ (দক্ষিণ) সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ কমিটির সম্পাদক মাকসুদ আলম ডাবলু প্রমুখ।

সম্মেলন শেষে দুই সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।

এমকেএইচ

Explore More Districts