১০ টুকরো করে প্রেমিকার লাশ গুম: ১০ মাস পর গ্রেফতার প্রেমিক

১০ টুকরো করে প্রেমিকার লাশ গুম: ১০ মাস পর গ্রেফতার প্রেমিক

 

পরিচ্ছন্ন, ছিমছাম, সাজানো-গোছানো আর সবুজের শহর হিসেবে রাজশাহীর খ্যাতি কম নয়। সেই শহরটিকে সাজানো হয়েছে আরও বর্ণিলভাবে। শুক্রবার থেকে আগামী সোমবার  পর্যন্ত এ শহরে বসতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত সাংস্কৃতিক মিলনমেলার পঞ্চম আসর। চার দিনের এ অনুষ্ঠানের জন্য পদ্মাপাড়ের এ শহরটিকে আরও সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে।

ভারতীয় অতিথিদের একটি অংশ শুক্রবার আসবেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে সড়কপথে। আরেক দল ঢাকা হয়ে আকাশপথে আসবেন রাজশাহী। স্থলবন্দর এবং বিমানবন্দরেই তাঁদের জানানো হবে ঊষ্ণ অভ্যর্থনা। মিলনমেলার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে শনিবার থেকে। তাই শেষ মুহূর্তে বৃহস্পতিবার বিকালে রাজশাহী কলেজ মাঠে গিয়ে প্রস্তুতি পরিদর্শন করেছেন সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। আগের দিন বুধবার বিকালেও মাঠ পরিদর্শন করেন তিনি। অনুষ্ঠানের জন্য বর্ণিল আলোকসজ্জায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে দেশসেরা এ কলেজটিকে।


স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী ৫০ বছর পূর্তিতে ‘ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ’ এ আয়োজন করতে যাচ্ছে। পৃষ্ঠপোষকতা করছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। প্রতিবেশী অতিথিদের আগমনে রাজশাহীকে বর্ণিল সাজে সাজিয়েছেন রাসিক মেয়র। রাজশাহী শহরের সবখানেই ফুটে উঠেছে চাকচিক্য। শহরজুড়ে শোভা পাচ্ছে দু’দেশের পতাকা এবং তোরণে তোরণে ঐতিহাসিক ছবি সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন।

দু’দেশের এ মিলনমেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে আসবেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উপ-মূখ্যমন্ত্রী জিষ্ণুদেব বর্মা। থাকবেন বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকও। বিশেষ অতিথি হিসেবে আসছেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের মন্ত্রী রাম প্রসাদ পাল, বিহার রাজ্য সরকারের মন্ত্রী সৈয়দ শাহনেওয়াজ হোসেন ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের প্রতিমন্ত্রী ড. হুমায়ুন কবীর।

সবমিলিয়ে প্রায় ৪০ জন আসছেন প্রতিবেশী দেশ থেকে। আগামী শনিবার অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের নেতৃত্বে একটি কালচারাল টিমও আসার কথা। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক থেকে শুরু করে রাজশাহী বিভাগের সাংসদদেরাও থাকবেন অনুষ্ঠানে।


আমন্ত্রিত অতিথিরা শনিবার শহরের সিঅ্যান্ডবি মোড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। সিটি করপোরেশন দাবি করে, এটিই দেশের সবচেয়ে বড় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল। ম্যুরালটি নির্মাণের টুকটাক কিছু কাজ বাকি ছিল। গত কয়েকদিন দিনরাত কাজ করে তা শেষ করা হয়েছে। দু’দেশের অতিথিরাই ফুল দিয়ে ম্যুরালটির উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন।

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর অতিথিরা জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সমাধিত শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর নগর ভবনের গ্রীন প্লাজায় নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে রাজশাহী কলেজে দুই দেশের খ্যাতিমান শিল্পীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

পরদিন রোববার অতিথিরা বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর ও পুঠিয়া রাজবাড়ি পরিদর্শন করবেন। তারপর পুঠিয়া হয়েই তারা নাটোর উত্তরা গণভবনে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। সন্ধ্যায় তারা ফিরে এলে রাজশাহী কলেজ মাঠে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। পরদিন সোমবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, তাহেরপুরে দুর্গামন্দির, বাঘা শাহী মসজিদ ও হযরত শাহমখদুম (র.) এর মাজার পরিদর্শনে যাবেন সবাই।


সন্ধ্যায় আবার রাজশাহী কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উৎসব চলাকালে রাজশাহী কলেজ মাঠে চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হবে মেলা। এতে রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী পণ্যগুলো থাকবে। এ আয়োজনে খরচ হচ্ছে প্রায় ৫০ লাখ টাকা। সিটি করপোরেশন ছাড়াও রাজশাহীর বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অর্থ দিয়ে এ আয়োজনে সহযোগিতা করছেন।

আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘এত বড় আয়োজনে শহরের সুনাম যেন নষ্ট না হয় তার জন্য কয়েকদিন ধরেই আমাদের প্রস্তুতি চলছে। এই উৎসবের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানাক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচিত হবে। আশা করছি অনুষ্ঠান সফল হবে।’

Explore More Districts