৬ ডিসেম্বর ২০২৩ বুধবার ৮:৪৬:৩৬ অপরাহ্ন |
বরিশালের হিজলায় প্রতিপক্ষের হামলায় ইব্রাহিম আখন (৫০) ও ইয়াসিন আখন (৪৫) নামে দুই কৃষক আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার কানিবগার চরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষরা এ হামলা চালিয়েছে। এসময় ওই কৃষকদের কুপিয়ে ও গুলি করে আহত করা হয়।
আহত কৃষকের স্বজনরা বুধবার দুপুরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
আহত ইব্রাহিম ও ইয়াসিন হিজলা থানার মেঘনা নদীর কানিবগার চরের মোসলেম আখনের ছেলে।
হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবায়ের আহমেদ বলেন, ঘটনাটি আমরা শুনেছি। আহত দুইজনকে লক্ষ্মীপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরমধ্যে একজনের শরীরের ছররা গুলির চিহ্ন রয়েছে। তাদেরকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, কানিবগার চরে মিজান গ্রুপ ও মিঠু চৌধুরী গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ রয়েছে। চরের জমি দখলে নিয়েই দু’গ্রুপের মধ্যে মারামারি ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। শুনেছি দু’গ্রুপের লোকজনই আহত হয়েছে। তবে ইব্রাহিম ও ইয়াসিনের আহতের ঘটনা নিশ্চিত হয়েছি। অন্যদেরটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল দুর্গম চর হওয়ায় চাইলেই সময়মতো সেখানে যাওয়া যায় না বলে জানান তিনি।
জমির মালিক দাবি করা মো. আবদুল্লাহ বলেন, ইব্রাহিম ও ইয়াসিন আমাদের জমিতে চাষাবাদ করে। মঙ্গলবার রাতে রাসেল খাঁ, মিন্টু খাঁ, হালিম খাঁ, নাসির সর্দার, বাকের মৃধ্যা ও সোহাগসহ প্রায় ২০ জনের অস্ত্রধারী লোক ইব্রাহিম ও ইয়াসিনের ওপর হামলা করে। এসময় তাদেরকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়। এক পর্যায়ে গুলি করলে ইয়াসিনের বুকে জখম হয়।
আহত ইয়াসিনের স্ত্রী কাজল রেখা বলেন, আমার ভাসুর ইব্রাহিম ও ইয়াসিন ঢাকায় থাকেন। মঙ্গলবার রাতেই তারা ঢাকা থেকে আসেন। এরপর অতর্কিতভাবে মিন্টু খাঁ ও রাসেল খাঁ দলবল নিয়ে হামলা চালায়। আমার স্বামী ইয়াসিনের দুই পা ভেঙে দিয়েছে হামলাকারীরা। তারা ডাকাত। আমরা স্বামীর বুকে গুলি লেগেছে। আমার ভাসুর ইব্রাহিমের চোখ উপড়ে ফেলতে চেয়েছিল। একপর্যায়ে দুইজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়।
তবে এ ব্যাপারে রাসেল খাঁসহ অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। রাসেলের ভাই আমান উল্লাহ খাঁ গণমাধ্যমকে বলেন, আমার ভাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। ঘটনার সময় তিনি ভোলা সদর থানা এলাকায় ছিলেন। থানার সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখলে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আনোয়ার হোসেন বলেন, আহত ইব্রাহিমের মাথা-পা ও চোখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ইয়াসিনের বুকে ছররা গুলির চিহ্ন রয়েছে। দু’পা ভাঙা মনে হয়েছে। তবে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক
শেয়ার করতে ক্লিক করুন: | Tweet |