বিরিয়ানি তৈরির এই কর্মযজ্ঞে নেতৃত্ব দেন মোহাম্মদ হানিফ বাবুর্চি। তিনি জানান, গত প্রায় দেড় যুগ তিনি বিভিন্ন জায়গায় ওরস বিরিয়ানি রান্না করছেন। চাল, মাংস, আলু ও মসলার পরিকল্পিত ব্যবহারের ফলে এ খাবার ভোজনরসিকদের প্রিয় হয়ে উঠেছে। দরবার থেকে চলে এসেছে হোটেল-রেস্তোরাঁয়। সাত ডেকচিতে ইফতার থেকে সাহ্রি পর্যন্ত ২ হাজার ১০০ জন খেতে পারেন।
এবার পবিত্র রমজান শুরু হওয়ার পর নগর ও আশপাশের এলাকাগুলোতে ওরস বিরিয়ানি হঠাৎ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সন্ধ্যা থেকে সাহ্রি পর্যন্ত অস্থায়ী দোকানগুলোতে চলছে মাংস কাটাকাটি, বিরিয়ানি তৈরি ও বেচাবিক্রি। নগরের অলিগলির রেস্তোরাঁ, হোটেলে ঢুঁ মারলেই এই ওরস বিরিয়ানির ঘ্রাণ নাকে লাগছে। দল বেঁধে বন্ধুরা যাচ্ছেন ওরস বিরিয়ানির স্বাদ নিতে।
গতকাল সন্ধ্যায় সিআরবিতে কথা হলো রাজ্জাক সরকার, সেলিম উদ্দিন ও রায়হান মাহমুদের সঙ্গে। তাঁরা তিন বন্ধু এসেছিলেন এই বিরিয়ানি চেখে দেখতে। ১২০ টাকা দরে তিন প্লেট বিরিয়ানি নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন তাঁরা। ইফতারের পর একফাঁকে প্রথম আলোকে বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে ওরস বিরিয়ানি খাওয়ার ইচ্ছা ছিল তাঁদের। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এই বিরিয়ানির ছবিসহ অনেকেই পোস্ট দিচ্ছেন। তাই শেষমেশ তাঁরাও চলে এলেন। খেতে কেমন লাগল, এমন প্রশ্নে সেলিম একশব্দে জবাব দিলেন, ‘দারুণ।’