‘হঠাৎ একটা শব্দে ঘুম ভেঙে যায়, জানালা দিয়ে দেখি আগুনের লেলিহান শিখা’

‘হঠাৎ একটা শব্দে ঘুম ভেঙে যায়, জানালা দিয়ে দেখি আগুনের লেলিহান শিখা’

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় এলজিইডি ভবন ঘুরে দেখা যায়, ভবনের দ্বিতীয় তলায় লম্বা করিডরে পুড়ে যাওয়া কাগজপত্রের ছাইয়ের স্তূপ। সেসব পরিষ্কার করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকেরা। দ্বিতীয় তলার ১০টি কক্ষের সব নথিপত্র, কম্পিউটার, এয়ারকন্ডিশন, আসবাব সব পুড়ে ছাই হয়েছে। পুড়েছে তৃতীয় তলার কয়েকটি কক্ষ। ভবনের দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ তলার বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে। মেঝের টাইলস, দরজা–জানালার কাচের গ্লাস ভেঙেছে ও পুড়েছে।

জেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ভোর ৫টা ৫ মিনিটে তাঁরা অগ্নিকাণ্ডের খবর পান। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করে। ধারণা করা হচ্ছে, ভবনের দ্বিতীয় তলায় বৈদ্যুতিক বোর্ড থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। চতুর্থ তলায় দুই প্রান্তে দুটি কক্ষ দুজন আটকা পড়েছিলেন। তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির হিসাবের কাজ চলছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলজিইডির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এই অগ্নিকাণ্ডের পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না তা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা দরকার। কয়েক মাস আগে অডিট সম্পন্ন হয়েছে। কোনো ঝামেলা থাকলেও থাকতে পারে। শুধু শর্টসার্কিট বলে বিষয়টিকে শেষ করা ঠিক হবে না।’

এ বিষয়ে দিনাজপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি করার কাজ চলছে। এ ছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আগুনের সূত্রপাত কী কারণে, সেটির বিষয়েও অধিকতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। সম্প্রতি মন্ত্রণালয় অডিট টিম কোনো আপত্তি দিয়েছে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অডিট তো কিছু আপত্তি দিয়ে থাকেই।’

Explore More Districts