স্বামীকে বাঁচাতে লিভারের অংশ দান স্ত্রীর, অস্ত্রোপচারের পর মারা গেলেন দুজনই – DesheBideshe

স্বামীকে বাঁচাতে লিভারের অংশ দান স্ত্রীর, অস্ত্রোপচারের পর মারা গেলেন দুজনই – DesheBideshe

স্বামীকে বাঁচাতে লিভারের অংশ দান স্ত্রীর, অস্ত্রোপচারের পর মারা গেলেন দুজনই – DesheBideshe

নয়াদিল্লি, ২৫ আগস্ট – স্বামীর জীবন বাঁচাতে লিভারের একটি অংশ দান করেছিলেন স্ত্রী। কিন্তু অস্ত্রোপচারের কয়েক দিন পরেই স্বামী-স্ত্রী দুজনেই মারা গেছেন। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের পুনেতে।

এ ঘটনায় মহারাষ্ট্র স্বাস্থ্য বিভাগ শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালকে নোটিশ দিয়েছে। ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে সোমবার (২৫ আগস্ট) এই তথ্য জানিয়েছে একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।

স্বাস্থ্যসেবার উপপরিচালক ডা. নাগনাথ ইয়েমপালে রোববার জানান, সাহ্যাদ্রি হাসপাতালকে সোমবার সকাল ১০টার মধ্যে পুরো ঘটনার বিস্তারিত জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে থাকবে রোগী ও দাতার তথ্য, ভিডিও রেকর্ডিং এবং চিকিৎসার বিবরণ।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ আগস্ট ওই হাসপাতালেই বাপু কোমকর নামের রোগীর লিভার প্রতিস্থাপন অস্ত্রোপচার করা হয়। তার স্ত্রী কামিনী কোমকর স্বামীর জন্য লিভারের একটি অংশ দান করেছিলেন। তবে অস্ত্রোপচারের পর বাপুর শারীরিক অবস্থা দ্রুত খারাপ হতে থাকে এবং তিনি ১৭ আগস্ট মারা যান।

এরপর গত ২১ আগস্ট সংক্রমণ দেখা দিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কামিনীও। এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে তদন্ত দাবি করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অস্ত্রোপচার সম্পূর্ণ চিকিৎসা-প্রটোকল মেনে করা হয়েছিল এবং তারা তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করছে।

এক বিবৃতিতে হাসপাতাল জানায়, রোগী বাপু কোমকর শুরু থেকেই জটিলতায় ভুগছিলেন এবং তাকে উচ্চঝুঁকির রোগী হিসেবে ধরা হয়েছিল। বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা কোমকর পরিবারের গভীর দুঃখে শোকাহত। জীবিত দাতার লিভার প্রতিস্থাপন অত্যন্ত জটিল একটি প্রক্রিয়া। এই ক্ষেত্রে রোগীর ঝুঁকি অনেক বেশি ছিল।”

হাসপাতাল আরও জানায়, অস্ত্রোপচারের আগে পরিবার ও দাতাকে সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়েছিল। অস্ত্রোপচারের পর বাপুর হার্টে জটিলতা দেখা দেয় এবং সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো যায়নি।

অন্যদিকে কামিনী কোমকরের ক্ষেত্রে হাসপাতাল জানায়, তিনি প্রথমে ভালোভাবে সেরে উঠছিলেন, কিন্তু পরে মারাত্মক সংক্রমণ ও একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে পড়ায় উন্নত চিকিৎসার পরও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

হাসপাতালটি জানায়, “আমরা সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর এবং এই ভয়াবহ সময়ে শোকাহত পরিবারের পাশে আছি।”

সূত্র: ঢাকা পোস্ট
এনএন/ ২৫ আগস্ট ২০২৫



Explore More Districts