স্মিথের আউটের পর সাবেক ইংলিশ স্পিনার গ্রায়েম সোয়ান টিএনটি স্পোর্টস লাইভে বলেন, ‘এই স্নিকো জিনিসটাকে ছুড়ে ফেলো। ফালতু।’ ইংল্যান্ডের আরেক সাবেক ক্রিকেটার অ্যালেক্স হার্টলিও টেস্ট ম্যাচ স্পেশালে প্রায় একই কথা বলেন, ‘স্নিকো বাদ দেওয়া দরকার। স্মিথ নিশ্চিত ছিল বল তার ব্যাটে লাগেনি। অস্ট্রেলিয়া জোরেশোরে আবেদন করেছে। কারণ, সবাই জানে যে এখন আর স্নিকোকে বিশ্বাস করা যায় না। তাই তারা সবকিছুর জন্যই আবেদন করছে, দরকারে রিভিউ নিচ্ছে।’
স্নিকো নিয়ে অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ানরাও। সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং যেমন বলেছেন, ‘আমরা যে প্রযুক্তি ব্যবহার করছি, সেটা অন্য দেশে ব্যবহার করা প্রযুক্তির মতো ভালো নয়। তৃতীয় আম্পায়ার বসে থেকে প্রযুক্তি তাঁকে যা দিচ্ছে, তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। অনেক সময় তৃতীয় আম্পায়ারকে সাহস করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এটা হতে পারে না। যে প্রযুক্তিটা আছে, সেটা আস্থা রাখার মতো হতে হবে।’ সাবেক অস্ট্রেলিয়ান আম্পায়ার সাইমন টফেলও স্নিকোর সীমাবদ্ধতা নিয়ে পরোক্ষে প্রশ্ন তুলেছেন। চ্যানেল সেভেনকে তিনি বলেছেন, ‘প্রযুক্তির কাজ আম্পায়ারের কাজে সহায়তা করা, আম্পায়ারের বিকল্প হওয়া নয়। আমাদের ২০ বছর পেছনে ফিরতে হবে, যেখানে প্রযুক্তির ওপর সন্দেহ থাকত। ব্যাটিং দল সব সময় একটা সুবিধা পেত। আমি চাই, আম্পায়ারদের সফট সিগন্যাল ব্যবস্থা ফিরে আসুক।’


