সেপটিক ট্যাংক পরিস্কার করতে গিয়ে দুই পরিচ্ছন্নতা কর্মীর মৃত্যু

সেপটিক ট্যাংক পরিস্কার করতে গিয়ে দুই পরিচ্ছন্নতা কর্মীর মৃত্যু

রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার খুন হয়েছেন বলা হলেও এখনো তার মরদেহ উদ্ধার করা যায়নি। তার মরদেহ উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপাশি বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার জন্য রাজধানীর গুলশান ও বসুন্ধরা এলাকায় একাধিক মিটিং করেন হত্যাকারীরা। গুলশান-২ এর ৬৫ নম্বর রোডের ১৭ নম্বর বাসায় ও বসুন্ধরার- L ব্লকের ৩২ নম্বরের ১৯২৯ নম্বর বাসায় তাকে হত্যার পরিকল্পনায় মিটিংগুলো করা হয়।

এরমধ্যে বসুন্ধরার- L ব্লকের বাসাটি আনোয়ারুল আজিম আনারের ছোটবেলার বন্ধু ও হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকরী হিসেবে অভিযুক্ত আখতারুজ্জামান শাহীনের মালিকানাধীন বলেও ডিবি সূত্রে জানা যায়। 

সূত্র জানায়, শাহীন দুই থেকে তিন মাস ধরে আনারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। আনারকে হত্যা করতে প্রথমে তারা বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন।  তবে গোয়েন্দা পুলিশের শক্তিশালী তদন্ত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে তারা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কলকাতাকে বেছে নেন।

এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ওয়ারী বিভাগ। তারা হলেন- হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেওয়া চরমপন্থি দল পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা আমানউল্লাহ আমান, মোস্তাফিজ, ফয়সাল, আমানের বান্ধবী সিলিস্তি রহমান ও জিহাদ ওরফে জাহিদ সিয়াম। 

আটককৃতদের মধ্যে জিহাদ ওরফে জাহিদ সিয়াম কলকাতার নাগরিক।

এদিকে আজ কলকাতার গোয়েন্দা পুলিশের বরাত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে অ্যাপচালিত এক ট্যাক্সিক্যাবচালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। 

তবে দৈনিক পত্রিকাটি আটক ক্যাবচালকের নাম প্রকাশ করেনি। 

উল্লেখ্য, গত ১২ মে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। এরপর তিনদিন পার হলেও পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারেননি। ভারতে গিয়ে তিনি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বরাহনগর থানার ১৭/৩ মণ্ডল পাড়া লেনের বাসিন্দা ও তার দীর্ঘদিনের পরিচিত গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন।

মূলত ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে যান তিনি। পরে ১৩ মে দুপুরে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে বের হন। ওইদিন সন্ধ্যায় ফেরার কথা থাকলেও তিনি আর ফিরে আসেননি। পরবর্তীতে গত ১৮ মে বরাহনগর থানায় একটি নিখোঁজের অভিযোগ করেন গোপাল বিশ্বাস। তারপরই গণমাধ্যমে আসে তার মৃত্যুর খবর।

Explore More Districts