সেনাবাহিনীর সুনিপুণ অভিযানে গ্রেপ্তার সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদ

সেনাবাহিনীর সুনিপুণ অভিযানে গ্রেপ্তার সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদ

আন্ডারওয়ার্ল্ডের দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদকে গ্রেপ্তারের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। মঙ্গলবার বিকালে আইএসপিআরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সামি-উদ-দ্দৌলা-চৌধুরী এক সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, সেনাবাহিনীর একটি দল মঙ্গলবার ভোরে কুষ্টিয়া ও হাতিরঝিল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার সন্ত্রাসীরা হলো- সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী, আবু রাসেল ওরফে মোল্লা মাসুদ, শ্যুটার আরাফাত ও ড্রাইভার শরিফ।

সামি-উদ-দ্দৌলা-চৌধুরী জানান, দেশের ভেতর আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্ন ও অস্থিশীল করার জন্য তারা সন্তাসী কমকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল। সেনাবাহিনীর একাধিক ইউনিট গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের সহযোগিতায় দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ চারজনকে গ্রেফতার করে।

সেনাবাহিনীর এ শীর্ষ কর্মকর্তা আরও জানান, এই চক্রটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হত্যা, চাঁদাবাজি ও নাশকতা চালিয়ে আসছিল। উল্লেখযোগ্যভাবে সুব্রত বাইন এবং মোল্লা মাসুদ হলো ‘তালিকাভুক্ত ২৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসী’ দলের অন্যতম নেতা এবং ‘সেভেন স্টার’ চক্রের মূল পরিকল্পনাকারী। এই অভিযান ছিল দীর্ঘদিনের গোয়েন্দা তৎপরতা ও পরিকল্পনার ফসল।

তিনি বলেন, অপারেশনটি অত্যন্ত সুনিপুণভাবে পরিচালনা করা হয়- যাতে ক্ষয়ক্ষতি বা সংঘর্ষ ছাড়াই তাদের পাকড়াও করা যায়। এটি আমাদের বাহিনীর পেশাদারিত্ব এবং রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ সমন্বয় ও সহায়তা প্রদান করেছে সেনাসদর, সামরিক অপারেশন পরিদপ্তর, ৫৫ পদাতিক ডিভিশন, ১৪ স্বতন্ত্র ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেড, ৭১ মেকানাইজড ব্রিগেড ও এনএসআই।

তিনি আরও জানান, এছাড়াও আমি আপনাদের মাধ্যমে দেশের জনগণকে জানাতে চাই-যেকোনো ধরনের সন্দেহজনক কর্মকাণ্ড কিংবা সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত তথ্য অনুগ্রহ করে নিকটস্থ সেনাক্যাম্প অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করুন।

আমরা আবারও দৃঢ়ভাবে জানাতে চাই, সেনাবাহিনী প্রধানের সুস্পষ্ট নির্দেশনার আলোকে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং জনগণের জানমালের সুরক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুত ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে।

চাঁদপুর টাইমস ডেস্ক/ ২৭ মে ২০২৫

Explore More Districts