সেজে উঠছে রাজধানীর কোরবানির পশুর হাটগুলো

সেজে উঠছে রাজধানীর কোরবানির পশুর হাটগুলো

ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। এরই মধ্যে সেজে উঠছে রাজধানীর কোরবানির পশুর হাটগুলো। ইজারাদাররা বলছেন, বাঁশ-খুঁটি পুঁতে ফেলার কাজ শেষ; এখন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে।

আগামী দুই একদিনের মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকার হাটে আসতে শুরু করবে কোরবানির পশু। এবার রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনে একটি স্থায়ী ও ১৭টি আস্থায়ী পশুর হাটের অনুমতি দিয়েছে সরকার।

কোরবানির ঈদের সবচেয়ে বড় অনুষঙ্গ পশু কেনাবেচা ও পশু কোরবানি। এরই মধ্যে রাজধানীর পশু কেনাবেচার হাটগুলোর প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। দুই একদিনের মধ্যেই এসব হাটগুলোতে দেশের দূর দূরান্ত থেকে পশু আসতে শুরু করবে।

বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা গেছে, হাটে গরু ছাগল বাঁধার বাঁশ-খুঁটি গাড়ার কাজ শেষ। প্রস্তুত করা হয়েছে অস্থায়ী শেড। এখন শেষ মুহূর্তে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে।

হাটের সার্বিক ব্যবস্থাপনা ঘুরে দেখছেন বড় বড় খামারিরা। অনেকে আগেভাগেই নিজেদের গরু বাঁধার জায়গা প্রস্তুত করে নিচ্ছেন। করোনার ধাক্কায় গত দুই বছরের যে ক্ষতি হয়েছে, তা এবার পুষিয়ে নিতে পারবেন এমনটাই প্রত্যাশা তাদের।

হাট কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনা আর বর্ষাকাল বিবেচনায় এবারে বাড়তি প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা। তাছাড়া ক্রেতা বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টা নিয়োজিত থাকবে তাদের নিজস্ব ভলান্টিয়ার।

কোরবানির পশু হাট শুরুর খবরে যেমন মানুষের মন আনন্দে নেচে ওঠে, তেমনি হাটের আশপাশের বাসিন্দাদের কপালে দেখা দেয় চিন্তার ভাজ। কারণ বেশিরভাগ হাট কর্তৃপক্ষ ঈদের পর ঠিকমত পশুর বর্জ্য পরিষ্কার করেন না। এর খেসারত দিতে হয় তাদের।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সিটি করপোরেশন থেকে হাট পরিষ্কার করার কথা মাইকিং করে বলে দেয়ার পরও দেখা যায় হাট শেষে নোংরা আবর্জনা যেখানে সেখানে পড়ে আছে। আমরা এতে অতিষ্ঠ হয়ে যায়। এই সকল বর্জ্যের কারণে আরও বেশি মশামাছির উপদ্রব হয়। কর্তৃপক্ষকে হাট শেষে ময়লা দ্রুত পরিষ্কার করার অনুরোধও জানান তারা।

ইউএইচ/

Explore More Districts