সুদানে যুদ্ধরত সামরিক ও আধাসামরিক বাহিনীকে সাহায্য করা দেশগুলো ও গোষ্ঠীগুলোকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল রোজমেরি ডিকার্লো।
তিনি বলেছেন, অস্ত্র সরবরাহের কারনে দেশটিতে বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এর ফলে মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (ইউএনএসসি) এক সম্মেলনে গত মঙ্গলবার তিনি এ আহ্বান জানান। তবে তিনি অস্ত্র প্রেরণকারী কোনও দেশ বা পক্ষের নাম উল্লেখ করেননি।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
রোজমেরি ডিকার্লো বলেছেন, “এটি বলতে গেলে স্পষ্ট যে দলগুলোর নির্দিষ্ট কিছু মিত্ররা এই হত্যাকাণ্ড ঘটাতে প্ররোচিত করছে। এটি এখনই বন্ধ করতে হবে। এ সংঘর্ষের ফল বেসামরিক নাগরিকদের ওপর প্রভাব ফেলছে।”
তিনি বলেছেন, সুদানিজ সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ) এবং আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) উভয়ই তাদের সামরিক অভিযান বাড়াচ্ছে এবং বহিরাগত সমর্থন ও অস্ত্রের প্রবাহ অব্যাহত রাখতে নতুন যোদ্ধাদের নিয়োগ করছে। কিন্তু এটি বেআইনি। এর অবসান হওয়া উচিত।
জাতিসংঘ বলছে, ২০২৩ সাল থেকে চলমান এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ২৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এতে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ১১ মিলিয়ন মানুষ। বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ বাস্তুচ্যুতি সংকটে প্রায় তিন মিলিয়ন মানুষ প্রতিবেশী দেশে পালিয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, মোহাম্মদ হামদান “হেমেদতি” দাগালো এবং এসএএফ প্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের নেতৃত্বে আরএসএফ-এর মধ্যে ক্ষমতার লড়াইয়ের ফলে ২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল সুদানে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।