মধ্যাহ্নভোজের পরে শুরু হয় আগত অতিথিদের স্মৃতিচারণামূলক আলোচনা। মধ্যাহ্নভোজ পরিবেশনায়, হলরুম তত্ত্বাবধান ও আলোচনায় যাঁরা অনুষ্ঠানটিকে সাফল্যমণ্ডিত করেছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম মঞ্জিল, শরীফ, হাসেম, মেনন, সুমন, মাহবুব, শাহজাহান মজুমদার, রিয়াজ, জহির, কামাল প্রমুখ। উপস্থাপনায় ছিলেন মুন্না। যাঁদের আন্তরিক উপস্থিতি অনুষ্ঠানটিকে বাড়তি মাত্রা দিয়েছে, তাঁরা হলেন জুরিখ থেকে সাংবাদিক দম্পতি বাকী উল্লাহ খান ও সুলতানা খানসহ আরও অনেকে, বার্ন থেকে জাফর, মামুন, লুজান থেকে গোলাম মোস্তফা, মো. কাউছার, জেনেভা থেকে ছিলেন জাবির, দূতাবাসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা খায়রুল আমিন, কুদরত এলাহী প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। দলমত-নির্বিশেষে এখানকার বাঙালিদের একতাবদ্ধতা চোখে পড়ার মতো। প্রবাসে আমরা যে যেই ধর্ম ও মতের হই না কেন, পরিচয় কিন্তু আমরা সবাই বাঙালি। রেমিট্যান্সযোদ্ধা ও বোদ্ধা হিসেবেই প্রবাসীদের পরিচয়। এ পরিচয় নিয়েই দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন প্রত্যেক প্রবাসী। তাই দেশের বাইরে সবাই মিলেমিশে দেশের পরিচয়কে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার দায়িত্ব কিন্তু আমাদেরই। জীবনের প্রয়োজনে মানুষের শারীরিক বিদায় হয় বটে, কিন্তু মনের মধ্যে বিদায়ের কোনো সংজ্ঞা হয় না। ভালো মানুষেরা তাঁদের কাজ দিয়েই মানুষের মন জয় করে যান। নজরুল ইসলাম তেমনই একজন মানুষ, যিনি বেঁচে থাকবেন তাঁর কর্মে।
*লেখক: রাওদাতুল জান্নাত, জেনেভা, সুইজারল্যান্ড