সঞ্জু রায় : ‘সামাজিক নিরাপত্তায় নাগরিকেরও রয়েছে দায়’ প্রতিপাদ্যতে মঙ্গলবার বিকেলে বগুড়ায় জলেশ্বরীতলা উন্নয়ন কমিটির আয়োজনে এবং কমিউনিটি পুলিশিং শহর কমিটির পৃষ্ঠপোষকতায় শহরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম এলাকা জলেশ্বরীতলায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও কার্যালয়ের উদ্বোধণ করা হয়েছে।
বগুড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র এ্যাড: রেজাউল করিম মন্টুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থাপনা ও জলেশ্বরীতলা উন্নয়ন কমিটির কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশের পাশাপাশি সচেতন নাগরিকদের এগিয়ে আসতে হবে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান জলেশ্বরীতলা কে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনার লক্ষ্যে যেভাবে
জলেশ্বরীতলা উন্নয়ন কমিটি এগিয়ে এসেছে তা সত্যিই ইতিবাচক পরিবর্তনের শুভ সূচনা। তিনি বলেন জেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ধীরে ধীরে সকল গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জলেশ্বরীতলা উন্নয়ন কমিটির সভাপতি এবং কমিউনিটি পুলিশিং শহর কমিটির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডোনিস বাবু তালুকদার। এছাড়াও উক্ত কার্যক্রমে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ আলহাজ্ব শেখ, ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন পশারী হিরু, বগুড়া সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর তাজমিলুর রহমান, নূর মসজিদের সভাপতি ডা: মামুনুর রশিদ মিঠু, জলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম রোলা এবং সদর ফাঁড়ির এস.আই খোরশেদ আলম রবি। জলেশ্বরীতলা উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার মোর্শেদ আশিক এর সঞ্চালনায় উদ্বোধণী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন ডা: গুলজার রহমান, আলী এখতিয়ার তাজু, ডা: তাপস কুমার, জামিলুর রহমান, মাহফুজার রহমান, সৈয়দ আব্দুর রহমান, মাসুদ পারভেজ জেমস্ প্রমুখ। জলেশ্বরীতলা উন্নয়ন কমিটির সভাপতি এ্যাডোনিস বাবু তালুকদার জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে মঙ্গলবার নূর মসজির এর রাস্তায় ৩টি, জেলখানা মোড়ে ২টি এবং মহিলা ক্লাবের আশেপাশে ৩টি সর্বমোট ৮টি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে যা পর্যায়ক্রমে সকল গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে স্থাপন করা হবে।
