সিলেটের কৈলাশ টিলা ও মাজার গোলাপগঞ্জবাসীর গর্ব – Habiganj News

সিলেটের কৈলাশ টিলা ও মাজার গোলাপগঞ্জবাসীর গর্ব – Habiganj News

গ্যাস সারা দেশে যাচ্ছে শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত হচ্ছে,দেশ উপকৃত হচ্ছে আর্থিক দিক থেকে। কিন্তু গোলাপগঞ্জের মানুষ তার ন্যায্য হিস্যা পায়নি। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, বৈষম্যমুলক দৃষ্টি ভঙ্গির কারণেই এটা হয়েছে। কৈলাশটিলায় তেল ও গ্যাসের সন্ধান লাভের পর থেকেই জনগণ আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। সংসদে বহুবার দাবী তোলা হয়েছে। কিন্তু গোলাপগঞ্জবাসী তাদের ন্যায্য হিস্যা পায়নি। এবার নতুন প্রজন্মের জন্য কিছুটা পরিসংখ্যান দিতে চাই। এ থেকে বুঝা যাবে আমাদের সিলেট বিভাগ থেকে কি পরিমান প্রাকৃতিক সম্পদ আহরিত হয়,টাকার অংকেই বা তার পরিমান কত দাঁড়ায়। এ থেকে আরো একটা বিষয় স্পষ্ট হবে সেটা ন্যায্য হিস্যা পাওয়া আর না পাওয়া। সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড কর্তৃক প্রকাশিত বিভিন্ন পরিসংখ্যান থেকেই এসব তুলে আনা হয়েছে। ১৯৯৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত নেয়া পরিসংখ্যা অনুযায়ী হরিপুর গ্যাস ক্ষেত্রে (প্রমানিত ও সম্ভাব্য) মোট মজুদ গ্যাসের পরিমান ৪৪৪ বিলিয়ন ঘনফুট,উত্তোলন যোগ্য মজুদ গ্যাসের পরিমান (প্রমানিত ও সম্ভাব্য) ২৬৬ বিলিয়ন ঘফুট ৯৬ এর জুন পর্যন্ত উত্তোলন করা হয়েছে ১৫৭ দশমিক ২৯৫ বিলিয়ন ঘনফুট,অবশিষ্ট উত্তোলন যোগ্য মজুদ ১০৮ দশমিক ৭০৫ বিলিয়ন ঘনফুট। একই সময়ে কৈলাশটিলায় মোট মজুদের (প্রমানিত ও সম্ভাব্য) পরিমান ৩ হাজার ৬শ ৫৭ বিলিয়ন ঘনফুট,উত্তোলন যোগ্য ৯ প্রমানিত সম্ভাব্য২ হাজার ৫শ ২৯ বিলিয়ন ঘনফুট উত্তোলন করা হয়েছে ৯৯ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ঘনফুট এবং অবশিষ্ট আছে ২ হাজার ৪শ ২০ দশমিক ৯শ ২৪ বিলিয়ন ঘনফুট। রশিদ পুরে এ সময়ে মোট মজুদ (প্রমানিত ও সম্ভাব্য) ২ হাজার ২শত ৪২ বিলিয়ন ঘনফুট, উত্তোলন যোগ্য ১৩শ ৯ বিলিয়ন ঘনফুট, উত্তোলন করা হয়েছে ৬৬ দশমিক ৪শ ৫৪ বিলিয়ন উত্তোলন যোগ্য ১শ ১৪ বিলিয়ন ঘনফুট। এখানে গ্যাস উত্তোলন শুরুই হয়নি। ফেঞ্জুগঞ্জে মোট মজুদ ৩৫০ বিলিয়ন ঘনফুট, উত্তোলন যোগ্য ২১০ বিলিয়ন ঘনফুট,অবশিষ্ট আছে ১১শ ১৩ দশমিক ৫শ ৩৫ বিলিয়ন ঘনফুট। বর্তমানে হরিপুরের ৬নং কুপ থেকে গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে। কৈলাশটিলার ৩ টি কুপের মধ্যে ১নং কুপ থেকে অতিরিক্ত পানি আসার কারণে ৯৫সালের ১২ মে থেকে উত্তপাদন বন্ধ । বর্তমানে এটি ওর্য়াক অডারের কাজ চলছে। বিয়ানীবাজার ও ফেঞ্চুগঞ্জ উৎপাদনের অপেক্ষায় আছে। ছাতকের একটি মাত্র কুপের উৎপাদন পানি আসার কারণে ৮৮ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে। এবার নজর দেই তেলের দিকে। তেলের পরিসংখ্যানটিও ও ১৯৯৬ সালের ৩০ জুনের। সিলেটের একমাত্র হরিপুর থেকে তেল উৎপাদিত হত। কুপ দিয়ে পানি আসার কারণে ৯৫ সালের ১৫ জুলাই থেকে তেল উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। হরিপুর তেল ক্ষেত্রে মোট তেল মজুদ (অনুমিত) ৮ দশমিক ২০ মিলিয়ন ব্যারেল (অপরিশোধিত)। উত্তোলন যোগ্য (প্রমানিত ও সম্ভাব্য) ১ দশমিক ৫০ মিলিয়ন ব্যারেল উত্তোলন করা হয়েছে দশমিক ৫৬১ মিলিয়ন ব্যারেল। বর্তমানে হরিপুরে ১টি কৈলাশটিলার ৩ টি রশিদপুরের ৪টি কুপ দিয়ে দৈনিক গড়ে ১৬৩ এমএমসি এফ গ্যাস এবং ১১৪৫ মিলিয়ন ব্যারেল উপজাত দ্রব্য উৎপাদিত হয়। সিলেটের তেল ও গ্যাস কুপ গুলো থেকে ৯০-৯১সালের মোট মুনাফা (গ্রস) ১৪ কোটি ৯লাখ ৮১ হাজার টাকা,৯১-৯২ সালে ১৫ কোটি ৬৪ লাখ ৮৬হাজার টাকা ৯২-৯৩ সালে ১৩ কোটি ৩৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকা ৯৩-৯৪ সালে ১৭ কোটি ৭৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং ৯৪-৯৫ সালে ২৩ কোটি ১৮ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। এ হলো মোটামুটি একটা পরিসংখ্যান।

Explore More Districts