নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ
সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি ৮ সেন্টিমিটার কমেছে
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘন্টায় ৮ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টের গেজ মিটার (পানি পরিমাপক) আব্দুল লতিফ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে যমুনার পানি কমলেও অভ্যন্তরীণ নদ-নদী ও চলনবিলের পানি প্রায় আগের অবস্থাতেই রয়েছে। এর মধ্যেই পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার বিভিন্ন উপজেলার ১ লাখ মানুষ, তলিয়ে গেছে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল।
এদিকে গত ১৪ আগস্ট থেকে শুরু করে গত ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যমুনা নদীর পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার নদীতীরবর্তী আরও কিছু নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাটে পানি ওঠায় বিপাকে পড়েছেন বন্যাদুর্গতরা। অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু রাস্তা বা স্কুল মাদ্রাসার মাঠে খোলা আকাশের নিচে থাকছে।
সিরাজগঞ্জ পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, গত কয়েক দিন হলোই যমুনায় পানিবৃদ্ধি অব্যাহত ছিল। তবে গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার কমেছে।
তিনি আরও বলেন, বন্যা পূর্ভাবাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, যমুনা নদীর পানি এই মুহুর্তে আর বাড়ার সম্ভাবনা নেই। তবে পানি কমলেও এখনো বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, আমরা ইতোমধ্যে সদর ও শাহজাদপুরের কিছু এলাকায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছি। তিনি আরও বলেন, জেলার ৫টি উপজেলায় ২০০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ও ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও আমরা নিয়মিত বন্যা ও বন্যা দূর্গতদের খোঁজ খবর রাখছি। এর মধ্যে নদীভাঙন ও নিম্নাঞ্চল এলাকায় শুরু করা হয়েছে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম। এ ছাড়া জেলায় ৭২১ মেট্রিক টন চাল ও আড়াই লাখ টাকা মজুত রাখা হয়েছে।