এরপর শুরু হয় স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রস্তুতি। হাজারো ভর্তি–ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রী; তার তুলনায় আসনসংখ্যা নিতান্তই অপ্রতুল। এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘গ’ ইউনিটে (ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ) ৯৩০টি আসনের বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ২৯ হাজার ৯৯৭ জন। অর্থাৎ ১টি আসনের জন্য লড়েছেন ৩২ শিক্ষার্থী। বলাবাহুল্য, তাঁরা সবাই মেধাবী। রীতিমতো এক যুদ্ধ। অনুমান করতে অসুবিধা হয় না প্রতিযোগিতাটা ছিল কত তীব্র! এ যেন বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী।
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর তিন–চার মাস আগে থেকেই সারোয়ার ভর্তি পরীক্ষার জন্য নিজেকে ধীরে ধীরে তৈরি করতে থাকেন। তিনি বুঝতে পারেন, বাংলা ও ইংরেজিতে তাঁর কিছুটা দুর্বলতা আছে। সে অনুযায়ী এ দুই বিষয়ে বিশেষ জোর দেন।
হিসাববিজ্ঞান, ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা, ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা—এ বিষয়গুলোতে তাঁর জ্ঞান এবং দক্ষতা আগে থেকেই ছিল। তথাপি এসব বিষয়েও চালিয়ে যেতে থাকেন নিয়মিত চর্চা। সারোয়ারের মতে, ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য পাঠ্যবইয়ের ওপর থাকতে হবে সর্বোচ্চ দখল। কেননা, পাঠ্যপুস্তক থেকেই একজন শিক্ষার্থীর মৌলিক জ্ঞানের ভিত তৈরি হয়। পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট অন্য বইও প্রস্তুতির জন্য বিশেষ সহায়ক ভূমিকা রাখে। প্রযুক্তি, যেমন ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে তাঁর মনোভাব বেশ ইতিবাচক। তিনি মনে করেন, যে কোনো বিষয়ে জ্ঞানের পরিধি বিস্তারে ইন্টারনেট বেশ কার্যকর। মাঝেমধ্যে গ্রুপ স্টাডি কোনো বিষয়কে আরও ভালোভাবে আয়ত্ত করতে সাহায্য করে।