সারা দেশের রেকর্ড ভঙ্গ করে গোপালগঞ্জে ১০০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস মিলছে সরকার নির্ধারিত মূল্য থেকেও কমে। ভূয়সি প্রশংসায় ভাসছে জেলা প্রশাসন।
{“remix_data”:[],”remix_entry_point”:”challenges”,”source_tags”:[],”origin”:”unknown”,”total_draw_time”:0,”total_draw_actions”:0,”layers_used”:0,”brushes_used”:0,”photos_added”:0,”total_editor_actions”:{},”tools_used”:{},”is_sticker”:false,”edited_since_last_sticker_save”:false,”containsFTESticker”:false}
স্টাফ রিপোর্টারঃ
গোপালগঞ্জ জেলা সদরে কালেক্টর বাজারে শুরু হয়েছে সরকার নির্ধারিত সুলভ মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ও গরুর মাংস বিক্রির কার্যক্রম। গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় -মানবিক গোপালগঞ্জের সভাপতি আরমান খান জয় এবং এশিয়ান টেলিভিশন গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ও মফস্বল মানবাধিকার সংগঠনের সভাপতি তানভীর হাসান সৈকত এবং সাংবাদিক ইকবাল মিয়া এর সহযোগিতায় ৬৬৪ টাকায় মিলছে প্রতি কেজি গরুর মাংস। যার সরকার নির্ধারিত মূল্য ৬৬৪ টাকা ৪৯ পয়সা।
ক্রেতারা তাদের চাহিদা অনুযায়ী প্রতি জন ১০০ গ্রাম থেকে শুরু করে নিতে পারবেন ২ কেজি পযন্ত।
পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে সুলভ মূল্যে সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি । সরকার নির্ধারিত মূল্য থেকেও ৫০ পয়সা কম মূল্যে মাংস পেয়ে খুশি ক্রেতারাও।
গোপালগঞ্জ জেলা সদরের লঞ্চঘাট সংলগ্ন কালেক্টর বাজারে চলছে এ মাংস বিক্রির কার্যক্রম। মাংসের পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি।
বাজার মূল্য থেকে প্রতিটি পণ্যই বিক্রি হচ্ছে কিছুটা কম মূল্যে।
বাজারের তুলনায় কিছুটা কম মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যদি পেয়ে খুশি ক্রেতারা।
ভোর রাত থেকে গরু জবাই করে বিক্রির জন্য প্রস্তুতি শুরু করা হয়। জেলার বাসিন্দারা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী অন্যান্য জেলা থেকেও নানান বয়সের নারী-পুরুষ দিনের প্রথম প্রহর থেকেই ব্যাগ হাতে মাংস কিনতে লাইনে ভিড় করেন।
জেলা সদরের একজন ক্রেতা প্রতিবন্ধী জলিল ভাই, চাকুরীজীবি রিনা খানম, গৃহিণী সালমা বেগম, ব্যবসায়ী মুসতাইন বিল্লা সহ কয়েকজন মাংস ক্রেতার সাথে কথা হলে তারা জানালেন, পবিত্র মাহে রমজানের শেষ সময়ে এসে সুলভ মূল্যে এমন নিত্য প্রয়োজনীয় বাজার সহ গরুর মাংস কিনতে পারছেন তারা।
দেশি এরে গরু হালালভাবে জবাই দেখে ও মাংস কিনতে পেরে সন্তুষ্ট তারা।
এ ধরনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেওয়ার জন্য গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সকল স্বেচ্ছাসেবকদের ধন্যবাদ জানান ক্রেতারা।
গোপালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহসিন উদ্দিন বলেন, সিন্ডিকেটের কারণে গরুর মাংস বেশিরভাগ মানুষের ক্রয় সাধ্যের বাহিরে চলে যাওয়ায় সরকার নির্ধারিত সূলভ মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যদি এবং মাংস বিক্রির কার্যক্রম কালেক্টর বাজারের মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়েছে। যা রমজানের পরেও চলমান থাকবে।
তিনি বলেন এলাকাভিত্তিক এধরনের উদ্যোগ নিলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি এবং গরুর মাংসের দামের উপর প্রভাব পড়বে এবং অসাধু ব্যবসায়ীরা সরকার নির্ধারিত মূল্যেই তখন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ও মাংস বিক্রি করবেন।
সকাল ৬ টা দুপুর ৩টা পর্যন্ত চলে মাংস বিক্রির কার্যক্রম।
পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বিক্রি হয় সকাল ছয়টা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত।
একজন ক্রেতা ১০০ গ্রাম থেকে থেকে সর্বোচ্চ ২ কেজি পর্যন্ত মাংস নিতে পারেন বলে জানান আয়োজকরা।
এছাড়াও মাহে রমজান উপলক্ষে কালেক্টর বাজার থেকে ইমাদ পরিবহনের সৌজন্যে রোজাদারদের জন্য ফ্রি ইফতার বিতরণ করা হয়।