
সাতক্ষীরা সংবাদদাতা :: পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বর্তমান সচিব ও সাতক্ষীরার সাবেক জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসানের বিরুদ্ধে অবৈধ নির্বাচন, খুন, গুমে অংশ নেওয়াসহ নানা অপকর্মের অভিযোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকাল ১১ টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আহত, ভুক্তভোগী পরিবার ও সচেতন সাতক্ষীরাবাসীর ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন সেই সময় পুলিশের গুলিতে পা হারানো এস এম আহাদ, শহর আলী, আব্দুল গফুর, ফকরুল হাসান, নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে খোরশেদ আলম প্রমুখ।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা বলেন, ২০১৩ থেকে ২০১৬ সালে সাতক্ষীরায় পুলিশের গুলিতে অর্ধশতাধিক জামায়াত— শিবির ও বিএনপির নেতাকমীর্র হত্যার নেপথ্যে ছিলেন তৎকালিন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির ও জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর তার পোষা গুন্ডা পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবিরও বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যায়। তবে বহাল তবিয়তে মন্ত্রণালয়ে কর্মরত রয়েছে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলা,পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান।
মানব বন্ধনে খোরশেদ আলম বলেন, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৩ সালে নাজমুল আহসান সাতক্ষীরার নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেন এবং ২৬ জানুয়ারী ২০১৬ পর্যন্ত তিনি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের দায়িত্বে ছিলেন। তার সময়ে শুধু সাতক্ষীরা জেলাতেই রাজনৈতিক সহিংসতায় ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে যৌথবাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন ২৭ জন। এদের সবাই স্থানীয় বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী। এছাড়া আরও ২৫ জন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন কয়েক শতাধিক ব্যক্তি। তার নের্তৃত্বে যৌথবাহিনীর বিচারবহির্ভূত এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জেলা প্রশাসক হিসেবে দায় এড়াতে পারেনা। তাই অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার পূর্বক চাকরিচ্যুতসহ বিচারের আওয়তায় আনার দাবী জানাচ্ছি। নইলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।