সাজেকে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় লুসাই ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী এবং ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। ব্যবসায়ীরা যেন আবারও ব্যবসায় ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেজন্য ব্যাংকগুলো যেন সহজ শর্তে কর্পোরেট ঋণ দেয় সে ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।
গতকাল বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সাজেক অগ্নিকাণ্ডের স্থান পরিদর্শন শেষে ক্ষতিগ্রস্তদের দাবির মুখে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এ ক্ষতি অপূরণীয়। তবুও দায়িত্ব ও মানবিক দিক বিবেচনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতার হাত বাড়ানো হবে।
এছাড়া সাজেকে ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ও হাসপাতাল নির্মাণের বিষয়ে উপদেষ্টাদের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও তিনি আশ্বাস দেন। অগ্নি দুর্গত ৩৫ পরিবারকে ঘর নির্মাণের জন্য প্রতি পরিবারকে দুই টন করে ৭০ টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণা দেন পার্বত্য উপদেষ্টা।
স্থানীয় লুসাই ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীরা প্রতিনিধিরা উপদেষ্টাকে তাদের ঘরগুলো নির্মাণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উন্নতিকরণ ও হোস্টেল নির্মাণ এবং সাজেকে হাসপাতাল বা ক্লিনিক নির্মাণের দাবি জানান। এছাড়া সাজেকে ঘরবাড়ি নির্মাণ করতে গিয়ে যাতে বন বিভাগ থেকে বাধা দেওয়া না হয় সেজন্য উপদেষ্টার সহযোগিতার কামনা করেন স্থানীয়রা।
ক্ষতিগ্রস্ত কটেজ, রিসোর্ট, রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে সাজেকে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন, পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহজ শর্তে ঋণের সুবিধার দাবি জানান।
পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ক্ষতিগ্রস্তদের দাবিসমূহ শুনে বলেন, দ্রুততম সময়ে সাজেকে বিশেষায়িত ফায়ার স্টেশন স্থাপনের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অনুরোধ করা হবে। টেকসই ও গুণগত শিক্ষা ব্যবস্থা সৃষ্টির লক্ষে শীঘ্রই উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেন, কটেজ মালিকরা যাতে কর্পোরেট লোন পায় তার জন্য অর্থ উপদেষ্টাকে অনুরোধ করা হবে। অগ্নিদুর্গত স্থানীয় বাসিন্দদের গৃহ নির্মাণের জন্য প্রতি পরিবারকে দুই টন খাদ্য শস্য বরাদ্দের ঘোষণা দেন, হাসপাতাল বা ক্লিনিক নির্মাণের জন্য আগামী কেবিনেট মিটিং এ স্বাস্থ্য উপদেষ্টার দৃষ্টি কামনা করবেন এবং সাজেককে কিভাবে আরও সৌন্দর্যময় করে গড়ে তোলা যায় সে লক্ষে কাজ করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন উপদেষ্টা।
এমএ/সিটিজিনিউজ