সুনেরাহ বিনতে কামাল: ‘দাগি’তে যে ধরনের চরিত্র করেছি, তেমনটাই করতে ভালো লাগে। বাণিজ্যিক সিনেমায় কাজ করতে মজা লাগে, এক্সাইটমেন্ট কাজ করে, কিন্তু এ ধরনের গল্পপ্রধান ছবিতে চরিত্রকে বেশি অনুভব করতে পারি বা আমার টাইপ কাজ মনে হয়। সিনেমাটা দেখলে মানুষ বুঝতে পারবে, মায়ার জায়গা আছে। চরিত্রটা ফুটিয়ে তোলা বেশ কষ্টসাধ্য ছিল। কেন এসব বলছি, ছবিটি দেখার পর মানুষ বুঝতে পারবেন।
প্রথম আলো :
শোনা যায়, আপনার সঙ্গে এই সময়ের বেশ কয়েকজন নির্মাতার বন্ধুত্ব, কিন্তু পর্দায় কাজ এত কম কেন?
সুনেরাহ বিনতে কামাল: বন্ধুত্বের সঙ্গে কাজের কোনো সম্পর্ক নেই। আমার মনে হয়, একটা গল্পে একটা চরিত্রের দরকার হয়, সেই চরিত্রে যাকে ডিমান্ড করে, তাকেই আসলে দরকার। হয়তো তারা যে ধরনের চরিত্র বা গল্প নিয়ে কাজ করছে, ওখানে হয়তো আমাকে প্রয়োজন মনে করে না বলে কাস্ট করে না বা হয়তো অনেক সময় আমাকে ডাকলেও ব্যাটে–বলে মেলে না। একটা কাজে সম্মানী, শিডিউল, স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়ও থাকে। একটা সিনেমা একটা নাটকের মতো না—গেলাম, করলাম, চলে এলাম। এখানে লম্বা সময় দিতে হয়। মানিয়ে নেওয়ার বিষয়ও আছে। তাই বলব, এটা ভাগ্যের ব্যাপারও। ‘ন ডরাই’ ছবির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়ার পর দেশে কোভিড গেল, ওই সময়ে কয়েকটি সিনেমা করার কথা ছিল, কিন্তু হয়নি। তখন যদি হতো, তাহলে পরিচালক বন্ধুদের সঙ্গেও অনেকগুলো কাজ পাওয়া যেত। তবে এখন আমি আবার শুরু করছি। আশা করছি, সামনে আরও ভালো ভালো কাজ উপহার দিতে পারব।
প্রথম আলো :
ঈদ এলেই প্রতিদ্বন্দ্বী সিনেমার শিল্পীদের বাগ্যুদ্ধ শুরু হয়। আপনি এটা উপভোগ করেন, নাকি নিজেকে এ ‘লড়াই’ থেকে দূরে রাখবেন?
সুনেরাহ বিনতে কামাল: আমি এসবের মধ্যে একেবারেই নেই। আমি কাজ করি, বাসায় ফিরে আম্মুকে কাজে হেল্প করি। ঘুমাই, খাই, সিনেমা দেখি, বই পড়ি। আমি আসলে কারও কাজ দেখার পর ভালো লাগলে অ্যাপ্রিশিয়েট করি। কিন্তু আমি প্রতিযোগিতার বিষয়টা বিশ্বাসই করি না। আমার কাজটা ভালো হলে প্রশংসিত হবে। অন্যের কাজ ভালো হলে সে–ও প্রশংসিত হবে।